সোমবার, ২৯ জুন ২০১৫
ব্রিটেনে সব তরুণের শুক্রাণু হিমায়িত করে রাখার প্রস্তাব
Home Page » এক্সক্লুসিভ » ব্রিটেনে সব তরুণের শুক্রাণু হিমায়িত করে রাখার প্রস্তাববঙ্গনিউজ ডটকমঃ যুক্তরাজ্যের সব ১৮ বছর বয়স্ক তরুণের শুক্রাণু হিমায়িত করে স্পার্ম ব্যাংকে রাখা উচিত, যাতে তারা পরে বেশি বয়সে সন্তানের পিতা হতে চাইলেও তা সম্ভব হয়, বলছেন একজন বিশেষজ্ঞ। স্কটল্যান্ডের ডান্ডির অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কেভিন স্মিথ বলছেন, পুরুষদের বেশি বয়স হলে তাদের বাবা হওয়ার পথে অনেক রকম ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে এখন একজন পুরুষের সন্তানের পিতা হতে হতে গড়ে ৩৩ বছর বয়স হয়ে যাচ্ছে।
কেভিন স্মিথ বলছেন, বেশি বয়সে সন্তানের পিতা হওয়া অসম্ভব নয়, কিন্তু এর ঝুঁকিও আছে। সেটা ঠেকাতে ভবিষ্যতে স্পার্ম ব্যাংকই হয়তো ভবিষ্যতে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে যাবে- বলেন তিনি। তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়সই একজন পুরুষের শুক্রাণু হিমায়িত করে ব্যাংকে রাখার আদর্শ সময়। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বা এনএইচএসের মধ্যেই এ ব্যবস্থা থাকা উচিত, তাতে খরচও কম লাগবে। এর ফলে কারো ৪০-এর ওপর বয়স হয়ে গেলেও তিনি তার অল্প বয়সের শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তানের পিতা হতে পারবেন, বলছেন কেভিন স্মিথ।
বিবিসির সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার জানাচ্ছেন, বেসরকারি স্পার্ম ব্যাংকে শুক্রাণু জমা রাখতে হলে প্রতিবছর ১৫০ থেকে ২০০ পাউন্ড ফি দিতে হয়। কিন্তু ড. স্মিথের এই ভাবনার সমালোচনাও হয়েছে। শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান পেসি বলছেন, তিনি অনেক দিন এ রকম হাস্যকর কথা শোনেননি। তিনি বলেন, বেশি বয়সে একজন পুরুষের সন্তানের পিতা হবার যে ঝুঁকির কথা বলা হয়- তা খুবই সামান্য।
ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটি বলছে, মানুষের সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটা একটা কৃত্রিম ভাবনা। এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক অ্যাডাম ব্যালেন বলছেন, শুক্রাণু হিমায়িত করলে তার উর্বরতা কমে যায়- তাই এর কোনো গ্যারান্টি নেই। সে ক্ষেত্রে ওই দম্পতিকে হয়তো আইভিএফ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে হবে। এই সোসাইটি বলছে, বরং কিভাবে যুবক বয়েসেই স্বামী-স্ত্রী সন্তান নিতে পারে, আবার চাকরিও করতে পারে সে দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাদের মতে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বয়েস ২০ বা ৩০-এর কোঠায় থাকতে থাকতেই সন্তান নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪১:৪৮ ৩৭৮ বার পঠিত