রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫
সংসদে খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা
Home Page » প্রথমপাতা » সংসদে খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনাবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদে সরকারি দলের সদস্যরা বাজেটকে গণমুখী, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বান্ধব উল্লেখ করে বলেছেন, এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নকে আরো এগিয়ে নেবে। গতকাল বাজেট অলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এসব কথা বলেন। মন্ত্রী-এমপিদের বাজেটের সাধারণ আলোচনার অধিকাংশ সময় জুড়েই ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা-উত্তর টেবিলে উপস্থাপন হয়। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। গত ৪ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ’ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার ১৩তম দিনে অংশ নেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ হাছান মামুদ, টিপু মুন্শি, আবদুল মান্নান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, মো: শফিকুল ইসলাম শিমুল, বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), এম এ মালেক, জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, বেগম নাসরিন জাহান রতনা ও মোহাম্মদ ইলিয়াছ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য একটি আত্মবিশ্বাসী বাজেট ঘোষণা দেয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে আত্মবিশ্বাসের সুর লক্ষ্য করা গেছে। এটি কোন অলীক কল্পনা নয়, বাস্তব সম্মত বাজেট। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্থর গতি থাকলেও আমাদের অর্থনীতির গতি ছিল স্বাভাবিক। এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়েছে, বাজেটের আকার বেড়েছে চারগুণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৬ গুণেরও বেশি। দেশের সার্বিক অর্থনীতির ধারা ছিল উর্ধ্বমুখী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট সরকারের উন্নয়নের দলিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। সরকারের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ‘৭১ ও ‘৭৫-এর খুনিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্রের নামে ইস্যুবিহীন হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ৫২৩টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। কিন্তু ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে, আর এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারো ধ্বংস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি শুরু করে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুবিহীন অবরোধ ও হরতালের শিকার হয়ে দেশের সাধারণ মানুষ, নিরীহ পথচারী, বাসের হেল্পার, ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, গর্ভবতী মা ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এমনকি স্কুলগামী শিশুরাও তাদের পেট্রোল বোমার হাত থেকে রেহাই পায়নি। খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকারের পতন না ঘটিয়ে তিনি ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু তিনি পরাজিত সৈনিক হিসেবে ঘরে ফিরেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুই গুণ, মিথ্যাচার ও মানুষ খুন’। খুনের মাধ্যমে বিএনপি’র জন্ম। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে বেগম খালেদা জিয়ার হাত অসংখ্য মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২:৪২:৪৭ ৩৪৪ বার পঠিত