শনিবার, ২৭ জুন ২০১৫

বৃষ্টি কমার আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বৃষ্টি কমার আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
শনিবার, ২৭ জুন ২০১৫



সদরঘাট এলাকায় দোকানের সামনে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা। ছবি: মনিরুল আলমবঙ্গনিউজ  ডটকমঃ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে গিয়ে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে যানবাহন ধীরে চলায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও রাজধানীর প্রতিটি প্রধান সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য, আগামীকাল রোববার বৃষ্টি হলেও এর মাত্রা কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই দেশের সব জায়গায় বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। তবে আগামীকাল বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে।’

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে, ২১৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া ঢাকায় ১৫ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ২১ মিলিমিটার, যশোরে ৯ মিলিমিটার, ভোলায় ২২ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১১ মিলিমিটার, সন্দীপ ও চাঁদপুরে ১৮ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ড ও মাদারীপুরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারী বর্ষণের হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

রাজধানীর সদরঘাট, লক্ষ্মীবাজার, শ্যামবাজার, সোয়ারীঘাট এলাকায় বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দোকানের মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। তবে বৃষ্টির মধ্যে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। সদরঘাটের মানুষ ছাতা মাথায়, অনেকে পলিথিন মাথায় দিয়ে দৈনন্দিন কাজে নেমে পড়েছেন। ওই সব এলাকায় ফুটপাতের দোকানিরা পলিথিন মাথায় নিয়ে ইফতার সামগ্রী ও ফল বিক্রি করছেন। তবে অনেক জায়গায় নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ না পেয়ে বসে থাকতে বাধ্য হন।

রাজধানীর মুগদা থানার গলি ভাঙাচোরা। বৃষ্টির কারণে এই এলাকা এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনো যানবাহন তো চলছেই না, যাচ্ছে না কোনো রিকশাও। টিটিপাড়া মোড়েও পানি জমে গেছে। রাজধানীর শান্তিনগরেও বরাবারের মতো পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। তার পরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। এ ছাড়া মতিঝিলের ঢালু জায়গাগুলোতে পানি উঠে গেছে। পানি উঠেছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচেও। ফ্লাইওভারের নিচের খানাখন্দ পানিতে ডুবে আছে। বৃষ্টির কারণে ব্যস্ততম পুরানা পল্টনের মোড়েও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির পানি সরতে দেরি হচ্ছে। ফলে ওই এলাকাতেও সৃষ্টি হয়েছে জলজট, যানজট।

পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, মূলত বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং সেই সঙ্গে ঈদের কেনাকাটার জন্য মানুষের ভিড় থাকায় বেশ কয়েকটি সড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৫:১৮   ২৭৫ বার পঠিত