শুক্রবার, ২৬ জুন ২০১৫

ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস, রাতে আছে দিনে নেই

Home Page » প্রথমপাতা » ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস, রাতে আছে দিনে নেই
শুক্রবার, ২৬ জুন ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত অতিঝুঁকিপূর্ণ ১১ পাহাড়ে বসবাসকারীরা দিনের বেলায় উচ্ছেদের সময় থাকে না। তখন ঘরে তালা ঝুলতে দেখা যায়। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পর ঠিকই তারা ফের ঘরে ফিরেন। ফলে প্রশাসন চেষ্টা করেও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে তাদের সরাতে পারছে না। টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকছেই।

জানা যায়, গত ১৪ জুন মতিঝর্ণা এলাকার বাদল বাবুর কলোনি ও ৫ নম্বর গলি থেকে ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু আজ শুক্রবার উচ্ছেদ করা জায়গায় পুনরায় বসতঘর নির্মাণ করতে দেখা যায়। এভাবে উচ্ছেদ করা বসত ঘরে ফের তারা ফিরছে।

আজও পাহাড় ধসের শঙ্কায় সকাল থেকে নগরীর আকবর শাহ, শাপলা আবাসিক এলাকা, বিশ্বকলোনি, ফারুক চৌধুরী মাঠ, টাইগার পাস, লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, বায়েজিদসহ বিভিন্ন পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে প্রশাসন।

তাছাড়া আজ ১২টা-৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর মোহাম্মদ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে মতিঝর্ণা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৭০টি ঝুঁকিপূর্ণ বসত ঘর সিলগালা এবং ৩০টি উচ্ছেদ করে। একই সঙ্গে বসতঘরগুলোর পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু অভিযানকালে এসব বসতঘরে কোনো মানুষ ছিল না।

স্থানীয়রা বলেন, অভিযানের কথা শুনে তারা আগেই দরজায় তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে যায়। প্রশাসনের মানুষ চলে গেলে ফের ফিরে আসে।মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মতিঝর্ণা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৭০টি বসতঘর সিলগালা এবং ৩০টিকে উচ্ছেদ করা হয়। কিছু পরিবারকে পাশ্ববর্তী লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়। উচ্ছেদের পর ফের ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। এটি না ঘটতে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। যারা ফিরে আসবে তাদের আবারো উচ্ছেদ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৮:১৭   ৪৪৫ বার পঠিত