বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০১৫

ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন কোহলির!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন কোহলির!
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০১৫



কোহলি-ধোনির এই সুসম্পর্ক আর নেই? ছবি: প্রথম আলোবঙ্গনিউজ ডটকমঃ এবার হয়তো সংসারের বাকি দুটো চাবিও মুঠোয় পুরতে চাইছেন বিরাট কোহলি। টেস্ট অধিনায়কত্ব তাঁর কাছেই। হয়তো যত দ্রুত সম্ভব ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বও চান। ধোনির সঙ্গে তাঁর ভদ্র ভাষায় বললে ‘মতের অমিল’, কিংবা একটু রূঢ়ভাবে বললে ‘বিবাদ’ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এবার কোহলি সিরিজ হারের কারণ হিসেবে কিছু ‘দুর্বল সিদ্ধান্ত’কে দা​য়ী করলেন। অভিযোগের আঙুলটা ধোনির দিকেই তাক করা!

ভারতীয় ড্রেসিংরুম অশান্ত-চঞ্চল হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছিলেন ধোনির সাবেক কোচ চঞ্চল ভট্টাচার্য। ধোনি অবশ্য ‘কেউ একদিন আমাকে একটু শিখিয়ে দিলেই সে আমার কোচ হয়ে যায় না’ বলে চঞ্চলের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। শেষ ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকাও রেখেছেন ব্যাট হাতে।

কিন্তু ধোনির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কেন রবীন্দ্র জাদেজা এত আনুকূল্য পান ধোনির কাছ থেকে? প্রথম ওয়ানডের পর একাদশ থেকে অজিঙ্কা রাহানেকে বাদ দেওয়া নিয়ে ভারতের ড্রেসিংরুমই নাকি ক্ষুব্ধ ছিল। এই অবস্থায় ‘ভারত কেন সিরিজ হারল’ প্রশ্নটার উত্তর দিতে গিয়ে কোহলি স্পষ্ট করেই বলেছেন, কিছু দুর্বল আর অস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ভারতের সিরিজ হারের কারণ।

কোহলি স্পষ্ট করে কারও নাম বলেননি। তবে তাঁর কথা শুনলেই বোঝা যায় ধোনির দিকেই অভিযোগের তির। শুধু সিদ্ধান্ত নিয়ে নয়, ধোনি খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে সেরাটাও বের করে আনতে পারেননি-পরোক্ষে এমন অভিযোগও তুলেছেন। তৃতীয় ওয়ানডের আগে স্টার স্পোর্টসকে কোহলি বলেন, ‘বাংলাদেশে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যেন সংশয়গ্রস্ত ছিলাম। মাঠে তারই প্রতিফলন দেখা গেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিচ্ছি ওরা যেভাবে খেলেছে। কিন্তু এটাও সত্যি, প্রথম দুই ম্যাচে আমরা যেন পরিষ্কার ভাবনা নিয়ে মাঠে নেমে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারিনি। এটা সাক্ষাৎ​কারে বলার দরকার নেই। আপনার খেলা দেখেছেন, বিশেষজ্ঞরা দেখেছে। এটা স্পষ্ট, দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের ঠিকমতো মেলে ধরতে পারেনি।’

স্বাভাবিকভাবেই ড্রেসিংরুমের কথিত ‘উত্তপ্ত’ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোহলিকে। সেই ‘গুঞ্জন’ উড়িয়ে দিয়েও কোহলি যেন একটা ‘কিন্তু’ রাখতে চাইলেন, ‘ড্রেসিংরুমের আবহ আগের মতোই আছে। তবে আগে আমরা অল্প হারতাম, আর বেশি জিততাম।’ কোহলির শেষ কথাটা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বৈকি!

ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের প্রশ্নটি এমনিতেও চলে আসত। আইসিসির তিনটি বড় টুর্নামেন্টই (বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) ভারতকে জিতিয়েছেন ধোনি। কিন্তু আগামী বিশ্বকাপের সময় তাঁর বয়স থাকবে ৩৮-এর দোরগোড়ায়। এখনই তাই ছোট সংস্করণেও বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে ভারতের ভাবা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

কিন্তু এই দলে ধোনির প্রতি খেলোয়াড়দের বড় অংশের আনুগত্যটা এত বেশি, হুট করে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে নতুন কাউকে আনাও সম্ভব নয়। অশ্বিন-রায়নারা তো খোলাখুলিই বলছেন, ধোনি বললে মাঠে নিজেদের জীবনও তাঁরা দিয়ে দিতে প্রস্তুত।

ভারতীয় একাদশের পাঁচজনই আবার চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির নেতৃত্বে খেলেন! পিটিআই অবলম্বনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৭:১২   ৩৩১ বার পঠিত