শনিবার, ২০ জুন ২০১৫

অবৈধ পর্ষদে চলছে পূবালী ব্যাংক

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » অবৈধ পর্ষদে চলছে পূবালী ব্যাংক
শনিবার, ২০ জুন ২০১৫



pubalisk_.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ পরপর দুই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পুনরায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে। এতে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের তোয়াক্কা না করে পর্ষদ গঠন সমীচীন নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ ব্যাংকের ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১২ জন পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। অথচ একাদিক্রমে দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে পরিচালক হওয়া যায় না। পূবালী ব্যাংকের পর্ষদ গঠনে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ব্যত্যয় ঘটায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশু ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরী, পরিচালক যথাক্রমে মনিরুদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জাম হুসাইন, মঞ্জুরুর রহমান, আহমেদ শাফি চৌধুরী, এম খাবিরুজ্জামান ইয়াকুব, মুসা আহমেদ, মোস্তাফা আহমেদ, আজিজুর রহমান এবং রুমান শরিফের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরও ব্যাংকটির এ পর্ষদ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১৫কক ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো পরিচালক একাদিক্রমে দুই মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন বত্সর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক পদে পুনর্নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর পুনরায় পরিচালক হওয়া সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে সমীচীন নয়। ব্যাংকের পর্ষদ গঠনে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হালিম চৌধুরী সকালের খবরকে বলেন, এটা আইনের একটা ব্যাখ্যার বিষয়। বোর্ড এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে। খুব শিগগির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠির জবাব দেওয়া হবে। আইনের ওই ধারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো একটি মেয়াদের আংশিক মেয়াদ পূর্ণ মেয়াদ হিসাবে গণ্য হইবে’ অর্থাত্ কোনো পরিচালক এক মেয়াদ শেষ করার পর পরবর্তী মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর পদত্যাগ করলেও পূর্ণ মেয়াদ হিসেবে গণ্য করা হবে।
সে হিসেবে একাদিক্রমে প্রথম অথবা দ্বিতীয় মেয়াদের আংশিক দায়িত্ব পালনকেও পূর্ণ মেয়াদ হিসেবে ধরা হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের এই ‘ব্যাখ্যা’র ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পূবালী ব্যাংকের পর্ষদ গঠন করা হয়। সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে পরপর দুই মেয়াদের পর কোনো ব্যাংকের পরিচালকের পরবর্তী তিন বছর অ
পর্ষদ গঠন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৬:৩২   ৩৭৫ বার পঠিত