বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৩

ব্যর্থদের উপদেশ সরকার কেন শুনবে: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

Home Page » প্রথমপাতা » ব্যর্থদের উপদেশ সরকার কেন শুনবে: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৩



2013-05-23-11-32-25-519dfe493aebd-sheikh-hasina.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের উপদেশ শুনলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দেশে এক-এগারোর পরে যাঁরা নির্বাচনই দিতে পারেননি, আমরা কেন তাঁদের ছবক শুনব?’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খবর ইউএনবি ও বাসসের।
গণতন্ত্র জনগণের অধিকার ও সুযোগ, এ কথা উল্লে¬খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ১৯৭৫ সালের পর জনগণের এ অধিকার ও সুযোগ বারবার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কিছু শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের সদস্য একে সমর্থন দিয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অপরাধ ও অরাজকতার বিচার নিশ্চিত করতে সরকার শান্তি ও একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এইসব মামলায় রায় দেওয়া শুরু করেছে। আর এই ন্যায়বিচারই দেশে শান্তি স্থাপনের পূর্বশর্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের সহিংসতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েও সরকার দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব, পবিত্র কোরআনসহ দোকানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে সরাসরি প্রধান বিরোধী দলও জড়িত।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করতে চায়। মিয়ানমারের সঙ্গে মামলায় সমুদ্রসীমা জয় করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সমস্যার মর্যাদাপূর্ণ সমাধানও করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি পরিষদের নির্বাহী সম্পাদক ইরাক্লিস সাবদারিদিস, সাবেকমন্ত্রী ও নিখিল ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থার সহ-সভাপতি প্রমোদ চন্দ্র সিনহা এবং নেপাল শান্তি ও সংহতি পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দ্র বাহাদুর শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এম এ কাশেম বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২২:৪৭   ৪৪১ বার পঠিত