বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫

সেচ্ছাসেবক দিয়ে চলছে নার্সের কাজ : হরিপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান ভেঙ্গে পড়েছে

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সেচ্ছাসেবক দিয়ে চলছে নার্সের কাজ : হরিপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান ভেঙ্গে পড়েছে
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫



haripur.jpgবঙ্গ নিউজ ডট কমঃ ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলা হাসপাতালটিতে নার্স থাকা সত্তে¡ও দীর্ঘদিন ধরে চলছে বহিরাগত একজন সেচ্চাসেবক দিয়ে রোগীর শরীরের ইনজেকশন দেওয়া থেকে শুরু করে সকল নার্সের কাজ। কাগজে-কলমে ডাক্তার নার্স থাকলেও তারা অজ্ঞাত কারণে নিয়োমিত আসার ফলে হরিপুর উপজেলা হাসপাতাটিতে চিকিৎসা সেবারমান ভেঙ্গে পড়েছে। নার্সের কাজ সেচ্ছাসেবক দিয়ে করার ফলে প্রতিদিনই রোগীরা নানা বিড়ম্বনার বা হয়রাণীর শিকার হচ্ছে বলে ভ‚ক্তভ‚গিরা জানিয়েছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, হরিপুর উপজেলার মানুষ আদিযুগ হতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। হাতুরে ডাক্তার, ওঝা ও কবিরাজের ঝাড় ফুকের উপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান। তাই এ অঞ্চলের চিকিৎসা সেবার মান উন্নতি করার জন্য ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ২০০৯ সালে দাতা সংস্থা এইচ, এন, পি ডাবি¬উ, পি‘র অর্থায়নে ৫০ শয্যা উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৪ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কাগজে কলমে আছে ১০ জন। কাগজে কলমে ১০ জন ডাক্তার থাকলেও প্রকৃতভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন জন। ঐ দুই থেকে তিন জন ডাক্তার দিয়ে চলে উপজেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের জন্য কথা বললেও বাস্তেেব এর কোন সুফল বয়ে আসছে না। তাই প্রতিনিয়ত এ উপজেলার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে অকালে চিকিৎসা সেবার কষাঘাতে ধুকে ধুকে মরছে। অপর দিকে ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল এখনো পোষ্টিং না দেওয়ার কারণে এবং হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা নিয়োমিত না আসার ফলে কোন রকম দায় সারাভাবে চিকিৎসা সেবার কার্য্যক্রম চলছে নার্স ও সুপারভাইজারসহ ১৬ জনের কর্মস্থলে আছে মাত্র ৩জন। ফার্মাসিস্ট, জুনিয়র স্কানিস, কার্ডিও গ্রাফার, কমান্ডার, ষ্টোরকিপার, অফিস সহকারী জরুবী এসিস্টেন্ট, ক্যাসিয়ার, এম,এল, এস,এস ল্যাবরোটোরি, ওটিবয় ও ড্রাইভার সহ ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর ৮৮জনের কর্মস্থলে থাকে ১৫ থেকে ২০ জন। ৫জন সুইপারের মধ্যে কর্মস্থলে আছে ২জন, তাও আবার মাসে এক থেকে দুই দিন আসে। সুইপার নিয়োমিত না আসার ফলে রোগীরদের থাকার ঘর দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে রোগীদের সেখানে থাকতে ভিশন কষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে রোগীরা সরকারি চিকিৎসা সেবারমান থেকে মূখ ফিরিয়ে নিবে। রোগীদের ব্যবহৃত পায়খানা গুলো নিয়োমিত পরিস্কার না করার ফলে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য সরকারিভাবে সরবরাহকৃত বিছানার চাদর রোগীদের নিয়োমিতভাবে দেওয়া হচ্ছে না বলে রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। অনতি বিলম্বে ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল পোষ্টিং বা নিয়োগ দিয়ে ও হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা যেন নিয়োমিত কর্মস্থলে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে আসার রোগীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে উপজেলাবাসী প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৮:১২   ৩৯৯ বার পঠিত