বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫
রমজানের বাজার
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » রমজানের বাজারবঙ্গনিউজ ডটকমঃ দরজায় কড়া নাড়ছে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা যায় অস্থিরতা। ভোজ্যতেল, ছোলা, চিনিসহ বেড়ে যায় অনেক পণ্যের দাম। তবে এবারের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। অধিকাংশ পণ্যই বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।
যদিও বছর ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগী, খাসি ও গরুর মাংস। কিছুটা উর্ধ্বমুখি মাছের বাজার। তবে ক্রেতাদের মতে, সব মিলিয়ে এবার খানিকটা স্বস্তিই বিরাজ করছে নিত্যপণ্যের বাজারে।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রহমতের বার্তা নিয়ে দুয়ারে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাসে দিনে খাদ্য ও পানাহার থেকে বিরত থাকার পর খাদ্য তালিকায়ও আসে বেশ পরিবর্তন। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে। এ সময় ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ক্রেতা সাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে ওঠে দামের ওঠানামা।
তবে এবারে বাজারের চিত্র যেন অনেকটা আলাদা। রমজানে যেসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় তা নতুন করে খুব একটা বাড়েনি এখনো। আর এতেই বেশ স্বস্তি ক্রেতাদের।
দাম কমার তালিকায় এবারে ক্রেতাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি সয়াবিন তেলে। সরকারি বিপণণ সংস্থা টিসিবির হিসাবেই, এক বছর আগের তুলনায় প্রতি ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম কমেছে প্রায় ষোল শতাংশ। বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চারশ থেকে ৪৮০। আর চিনির দাম কমেছে অন্তত ১১ শতাংশ। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৭ থেকে ৪৪ টাকায়। তবে ২৫ শতাংশ বেড়েছে খেজুরের দাম। আর বছর ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ার তালিকায় প্রাণীজ আমিষ। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। তুলনামুলক কম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগীর দাম কেজি প্রতি বেড়েছে সোয়া তিন শতাংশ। পাইকারি ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের মতে, রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা থাকে, এবার সেসবের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই।
আর রমজান জুড়ে দাম সহনীয় রাখতে নিয়মিত তদারকির দাবি জানালেন ক্রেতারা।
কেবল সহনীয় দামই নয়, বাজারে ভেজালমুক্ত খাদ্যও পাবেন, এমন প্রত্যাশা ভোক্তা সাধারণের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৪:১৩ ৪১১ বার পঠিত