বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৩
ওয়ার্নারের জরিমানা
Home Page » খেলা » ওয়ার্নারের জরিমানাবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ব্যাট হাতে ২২ গজে দাঁড়ালে আক্রমণই তাঁর কাছে শেষ কথা। কদিন আগে দেখা গেল, আচরণেও বেশ আক্রমণাত্মক হতে পারেন। টুইটারে যাচ্ছেতাই ভাষায় আক্রমণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সাংবাদিককে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পান বাহবা, আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য পেলেন গঞ্জনা, গুনতে হচ্ছে জরিমানা। টুইটার-বিতর্কে ৫৬০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারকে। দোষ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নার।
ঘটনা গত শনিবারের। আইপিএলের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে একটি কলাম লিখেছিলেন নিউজ লিমিটেডের সংবাদকর্মী রবার্ট ক্র্যাডক। কলামের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল ওয়ার্নারের একটি ছবি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে টুইটারে ক্র্যাডককে আক্রমণ করেন ওয়ার্নার। ক্র্যাডকের নিউজ লিমিটেড সহকর্মী ম্যালকম কন সহকর্মীর হয়ে জবাব দিলে তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বাঁহাতি ওপেনার। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের টুইটার আক্রমণ চলে ৫৬ মিনিট ধরে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এতে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনে ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে। আইপিএল থেকে বুধবার সিডনিতে ফেরার পরই শুনানি হয় ওয়ার্নারের। অপরাধ প্রথমবার হলেও সর্বোচ্চ শাস্তিই পেয়েছেন ওয়ার্নার।
শুনানি শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘পেছন ফিরে তাকালে বলতেই হবে হতাশা আমাকে পেয়ে বসেছিল, গত সপ্তাহে কিছু অগ্রহণযোগ্য টুইট করেছি। যদিও আমি ওই লেখার বিষয়বস্তু এবং আমার ছবি ব্যবহার করার সঙ্গে একমত নই, তবু শব্দ নির্বাচনে আরেকটু সতর্ক হতে পারতাম। আমার ভাষার কারণে যাঁরা কষ্ট পেয়েছেন, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে ভাষার ব্যবহারে সতর্ক থাকব।’
স্পট ফিক্সিং বিতর্কে যখন টালমাটাল ভারতীয় ক্রিকেট, তখন ওয়ার্নারের টুইটার-কাণ্ডে ঝড় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার, অনেকেই একহাত নিয়েছেন ওয়ার্নারকে। এসইএন রেডিওতে মার্ক ওয়াহ ওয়ার্নারকে পরামর্শ দিয়েছেন আরও সহনশীল হতে, ‘সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেভিড এমন টুইট করল যা খুব বুদ্ধিমানের মতো কাজ নয়। ওকে এসব থেকে শিখতে হবে। দলের সিনিয়র বা গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটারের এমন আচরণ খুব ভালো কোনো বার্তা নয়। চামড়া আরও মোটা করতে হবে। সব সময়ই যে কারও সম্পর্কে ভালো লেখা বা বলা হবে, এমন আশা করা ঠিক নয়। অনেক সমালোচনাও হবে এবং সেগুলোর হজম করতে হবে, মানিয়ে নিতে হবে।’
ওয়ার্নারের টুইট নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে তিনি দলের ‘লিডার্স গ্রুপ’-এর একজন বলে। কিছুদিন দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন, মাইকেল ক্লার্কের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবেও তিনি সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু অনেকের ধারণা, টুইটার-কাণ্ডে ওয়ার্নারের ভাবমূর্তির বড় ক্ষতি হয়ে গেল। নেতৃত্বগুণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও বিনয়ী আচরণকে খুব বড় করে দেখা হয়। এ জন্যই তাঁর প্রজন্মের সবচেয়ে ক্ষুরধার ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ও সহজাত নেতা বলে বিবেচিত হওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব পাননি শেন ওয়ার্ন। স্টিভ ওয়াহর ডেপুটি থাকার সময় ওয়াহর চোট-বিশ্রামে ১১টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু টেস্টে কখনোই নয়।
ওয়ার্নার অবশ্য আপাতত পাশে পেয়েছেন ক্লার্ককে। এখনো ওয়ার্নারকে ভবিষ্যৎ নেতা বলে সনদ দিচ্ছেন বর্তমান নেতা, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের নেতা হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে ডেভির। ও চমৎকার একজন মানুষ, দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। আমি নিশ্চিত, এ ঘটনা থেকে ও শিখেছে।’ ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫:৪৫ ৪৬৬ বার পঠিত