বুধবার, ১৭ জুন ২০১৫

রাশিয়ার জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » রাশিয়ার জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা
বুধবার, ১৭ জুন ২০১৫



1434469094_p-4.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপে সম্ভাব্য রুশ আগগ্রাসন মোকাবিলা এবং ওই অঞ্চলে অস্বস্তিতে থাকা দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার দোরগোড়ায় ভারী অস্ত্র ও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এই রণসজ্জাকে রাশিয়ার জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা অত্রাঞ্চলে পরিস্থিতির ভারসাম্য রক্ষা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গত রোববার এক প্রতিবেদনে পেন্টাগনের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পরে ওবামা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা এই পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, কার্যত রাশিয়াকে চাপে রাখতে এই পদক্ষেপ। পরিকল্পনার আওতায় পূর্ব ইউরোপ এবং বাল্টিক দেশগুলিতে সমরসজ্জা তৈরি করা হবে।

 

সব মিলিয়ে পাঠানো হবে প্রায় ৫ হাজার সেনা। গত রোববার নিউইয়র্ক টাইমসে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হলে, শীতল যুদ্ধের পরে এটিই হবে পূর্ব ইউরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সামরিক তৎপরতা। হাজারো সেনার পাশাপাশি পাঠানো হবে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। তালিকায় রয়েছে সামরিক ট্যাঙ্ক, আক্রমণে ব্যবহৃত যানবাহন, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ। আগ্রাসী ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলিতে এই জবরজঙ হবে। ২০১৪ সালের মার্চে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার পরে এবার একদা সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ও অধুনা যুদ্ধবাজ জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিতে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। আশঙ্কা ওয়াশিংটনের। ওবামা প্রশাসন এক্ষেত্রে ইউক্রেনে রাশিয়ারপ্রতি বন্ধু মনোভাবাপন্ন বিদ্রোহীদের মস্কোর সাহায্য পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে। পেন্টাগনের তাই এমন আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এমাসে ব্রাসেলসে ন্যাটোর বৈঠকে পরিকল্পনাটি নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। হোয়াইটহাউস পরিকল্পনাটি নিয়ে এগোতে চায় বলেই সূত্রে প্রকাশ। সেই মতো মস্কোর প্রতি কড়া বার্তা দেয়ার জন্য প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাসটন কার্টারকে জানানো হয়েছে।নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওই পরিকল্পনা অনুমোদিত হলে স্নায়ুযুদ্ধের পর পূর্ব ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত সেসব দেশে এটাই হবে ওয়াশিংটনের ভারী অস্ত্রশস্ত্র মজুদের প্রথম ঘটনা। উল্লেখ্য, এসব দেশ একসময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত কিংবা এর প্রভাব বলয়ের মধ্যেই ছিল। ২০১৪ সালের মার্চে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল রাশিয়ায় একীভূত করে নেয়ার পর ইউরোপীয় মিত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ন্যাটোর সাবেক প্রধান অ্যাডমিরাল জেমস জি স্টারিডিস বাল্টিক তীরবর্তী এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারী অস্ত্র মোতায়েনের সম্ভাব্য পদক্ষেপকে অর্থপূর্ণ নীতি পরিবর্তন হিসেবে অভিহিত করেছেন। অবশ্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টারকে পেন্টাগনের প্রস্তাব অনুমোদন করতে হবে। এরপর হোয়াইট হাউসে এটি অনুমোদিত হওয়ার পর ন্যাটোর আসন্ন বৈঠকে এর ওপর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি মাসে ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সামরিক সরঞ্জামাদি প্রেরণের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র। রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা, এপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩২:২৬   ৪৪৪ বার পঠিত