মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫

বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা দেখতে চায় চীন

Home Page » প্রথমপাতা » বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা দেখতে চায় চীন
মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫



1434388257_p-131.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা দেখতে চায় চীন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপমন্ত্রী গো ইয়ে ঝো’র বৈঠকের শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান একথা জানান।তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না।জবাবে মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে চীনের অবস্থান হচ্ছে অতীতে তারা স্পষ্টভাষায় বলেছিল, এখানে (বাংলাদেশ) একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করতে হবে। যাতে করে এদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে এদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াগুলো অর্থপূর্ণ হতে পারে। চীন সেই অবস্থানেই আজও রয়েছে। আমরাও সেই অবস্থানে রয়েছি।

গতকাল বিকাল পৌনে ৪টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায়।বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাংলাদেশে চীনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যকার সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মঈন খান ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য মাহবুবুর রহমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। চীনা উপমন্ত্রী ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। চীনা নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মা মিঙকিয়াঙ উপস্থিত ছিলেন।চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দল। চীন এমন একটি দেশ তারাও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের সঙ্গে আধুনিক চীনের সম্পর্কের গোড়াপত্তন করেছেন। এখন দুই দেশের সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব যেসব সেতু হয়েছে, সেগুলো বিএনপি সরকারের সময়ে সূচনা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চীনের সহায়তায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চলছে। আজকের চীন বাংলাদেশের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইতিপূর্বে আমাদের বেশ কয়েকটি সরকারের সঙ্গে চীন সরকারের যেসব উন্নয়ন চুক্তি হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো সামনে দিকে এগিয়ে চলেছে

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩০:৫৫   ৩৪৫ বার পঠিত