বুধবার, ১০ জুন ২০১৫
দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রমবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ফের চব্বিশ বিলিয়ন (দুই হাজার ৪০০ কোটি) ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন।মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
এই রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
ছাইদুর বলেন, “মূলত রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ভালো প্রবৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।”
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার ফলে এ খাতে ব্যয় কমেছে। যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ২২ এপ্রিল রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ২৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ২৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়ায় রিজার্ভ।
এরপর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১১০ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় গত দেড় মাসের ব্যবধানে তা ফের ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
আকুর জুন-মে মেয়াদের বিল শোধ করতে হবে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে।
তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করবে বলে জানান ছাইদুর রহমান।
৩০ জুন শেষে হতে যাওয়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় গত বছরের ৭ অগাস্ট। আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে যায়।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে তা ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুদ থাকতে হয়। দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১০:০৯ ৩৪৪ বার পঠিত