মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০১৫

এল পি গ্যাসে ভর্তুকি

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » এল পি গ্যাসে ভর্তুকি
মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০১৫



lp.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ সরকার পাঁচ-ছয় বছর ধরেই এলপি গ্যাসের ব্যবহার সম্প্রসারণের কথা বলে আসছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০-১১ সালের জাতীয় বাজেট ঘোষণার সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নের যে ‘পথনকশা’ দিয়েছিলেন, সেখানে সরকারের পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপরও একটি পথনকশায় অর্থমন্ত্রী বিষয়টির বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
২০১২ সালের জুনে দেওয়া পথনকশায় বলা হয়েছিল, দেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা পাঁচ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ আছে এক লাখ টন। এ অবস্থায় সরকারি খাতে মংলায় একটি ও চট্টগ্রামে আরেকটি এলপি গ্যাস প্লান্ট স্থাপনের কথা বলা হয়, যার প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ধরা হয়েছিল এক লাখ টন করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি খাতে এমন কোনো প্ল্যান্ট হয়নি।
সরকার সরবরাহ বাড়ানো ছাড়াও পাইপলাইন গ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ ও মান নিয়ন্ত্রণসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অর্থমন্ত্রী ২০১২ সালের জুনের ওই পথনকশায় এ কথাও বলেছিলেন যে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে বলা হচ্ছে, সরকার ভর্তুকি দিয়ে এলপি গ্যাসের ব্যবহার সম্প্রসারণ করবে। আবাসিক ব্যবহারের জন্য পাইপলাইনের গ্যাস আর দেওয়া হবে না। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে, কবে থেকে এগুলো করা হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ওমেরা এলপি গ্যাসের কর্ণধার আজম জে চৌধুরী বলেন, এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনা সময়োপযোগী। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ফুরিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দ্রুত এগিয়ে নেওয়া উচিত। বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:৫৫   ৬০৯ বার পঠিত