বুধবার, ২২ মে ২০১৩

এটিএন বাংলা সংসদীয় বিতর্কে বিজয়ী স্টেট ইউনিভার্সিটি

Home Page » জাতীয় » এটিএন বাংলা সংসদীয় বিতর্কে বিজয়ী স্টেট ইউনিভার্সিটি
বুধবার, ২২ মে ২০১৩



sub-bg20130522045428.jpgহৃদয়, বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ এটিএন বাংলা সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউণ্ডে বিজয়ী হয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। সোমবার “ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি” আয়োজিত ছায়া সংসদ কেন্দ্রিক “শর্তহীন সংলাপ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শীর্ষক” বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সংসদের বিরোধী দল হিসেবে ছায়া সংসদে অবস্থান নিয়েছিলো স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বির্তকে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন জুয়েইরিয়াহ  মৌ, উপনেতা সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি ও সংসদ সদস্য ছিলেন ইফফাত আরা আহমেদ। সরকারি দলের ভূমিকায় ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির মো. ইমাম হোসেন, লতিফা শারমিন, রথীন্দ্রনাথ সরকার। বিতর্কের বিষয় ছিলো,“ এই সংসদ মনে করে যে, শর্তহীন জাতীয় সংলাপই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করবে।”তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেনসংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
বির্তক অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক নাজমুল আলম, মোরসালিন বাবলা, ফিরোজ জামান চৌধুরী, ডালিয়া রহমান।
ছায়া সংসদ আলোচনায় সরকারি দলের ভূমিকায় অংশ নেওয়া বক্তারা আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির পাঁয়তারার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানান। তারা বলেন, হেফাজতের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়দায়িত্ব বিরোধী দলকে নিতে হবে।
বির্তকে বিরোধী দলের ভূমিকায় আলোচকরা বলেন, পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে সংলাপই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করবে। তারা বলেন, কে সংলাপে বসবেন, কোথায় বসবেন, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি কী হবে তা আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি খান বলেন, আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হলে সব রাজনৈতিক দলকেই কিছু ছাড় দিতে হবে। সমঝোতা করতে সংলাপে বসতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য সরকার গণভোট দিতে পারে। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মাধ্যমেই বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটতে পারে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পৃথিবীর ২০০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ সর্বনিম্ন শীর্ষ ১০-এর তালিকায়। এ পরিস্থিতিতে আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম তাদের মনোবেদনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২২:২১   ৫৭৩ বার পঠিত