সোমবার, ৮ জুন ২০১৫
উত্তরায় ফ্ল্যাটে পতিতা ব্যাবসা: এস আই শফিউল আইনের রক্ষক না ভক্ষক?
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » উত্তরায় ফ্ল্যাটে পতিতা ব্যাবসা: এস আই শফিউল আইনের রক্ষক না ভক্ষক?বঙ্গনিউজ ডটকমঃ মানব সভ্যতার আদি থেকে আজ অবদি যে দুটি পেশা বহাল তবিয়তে চলে আসছে তার একটি হলো পতিতাবৃত্তি। হাজার বছরের সভ্যতার প্রলেপ মেখেও এই কলুষিত পেশা থেকে মুক্ত হতে পারেনি মানব সমাজ। আমরা পতিতাবৃত্তি বা দেহব্যবসা যাই বলি না কেনো নারীকে হেয় করার, শোষন করায় পাশবিক নির্যাতন চলে আসছে হাজার বছর ধরে। স্বেচ্ছায় কি এ পেশায় কেউ যায়? ভিন্ন এ পেশা কে চায়? কখনো যদি এ পেশা থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে সে সুযোগ কি কেউ হেলায় হারায়?
পতিতাবৃত্তির উপর কঠোর আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়েরও বিধান করা হয়েছে। আর এই আইনের রক্ষকেরাই যখন ভক্ষক হিসেবে রূপ নেয় তখন আমাদের সমাজের অবস্থা কি হয়ে দাঁড়ায় আমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি?
আজ আমরা আমাদের পাঠকদের সামনে এমনি একটি ঘটনার উপস্থাপন করবো যার মাধ্যমে বোঝা যাবে আইনের রক্ষকেরাই এখন ভক্ষক।
রাজধানীর উত্তরা এলাকার ৪ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের একটি বাড়ীতে ফ্ল্যাট ভাড়ার মাধ্যমে কবির এবং নিরব নামে দুই ব্যাক্তি চালাচ্ছে দিন ভর অবৈধ দেহ ব্যবসা কিন্তু এতে নিরব ভুমিকা পালন করছে থানা পুলিশ প্রশাসন। আমাদের জানামতে সরকার অনুমতি তিনটি পতিতা পল্লী রয়েছে, এছাড়া অন্য কোথাও এ ধরনের কাজ হলে তা অবৈধ বলে গন্য করা হবে। এখানেই ঘটনার শেষ নয়।
এমনি একটি অবৈধ ব্যাবসা রাজধানীর উত্তরা এলাকার উত্তরা পূর্ব থানার অন্তর্গত ৪ নম্বর সেক্টরে হচ্ছে জানার পর “নিউজবিডি৭১ডটকম” এর একজন প্রতিবেদক অভিযোগ করে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর এর কাছে। তার মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে এস আই সফিউল এর হাতে। আর এস আই সফিউল কে নিয়েই যত প্রশ্ন! কেন? তা তো অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করবে। হ্যা আমরা বলতে চাই সেই প্রশ্নের উত্তর। এস আই সফিউল প্রশাসনের কর্মকর্তা বলে দায়টা যে পুরো প্রসাশনের তা কিন্তু নয়। দায়টা ব্যাক্তিগত। এবার যাওয়া যাক মূল ঘটনায়।
এস আই সফিউলকে আমাদের প্রতিবেদকের দেওয়া ঠিকানায় পাঠানো হলে তিনি খালি হাতে ফিরে এসে থানায় তথ্যটি মিথ্যা বলে জানায় কিন্তু যার কিছুক্ষন আগেও সেখানে চলছিল অবাদে পতিতা এবং মাদকের ব্যবসা। এর কিছুক্ষন পর ঐ পতিতালয়ের পরিচালক কবির আমাদের প্রতিবেদককে ফোনের মাধ্যমে জানায়, ” পুলিশ পাঠিয়ে কি আমাদের গ্রেফতার করাতে পারলেন? আমরা থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই চলি” এই কথাটার মানে আর হয়তো কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা।
আমাদের এই প্রতিবেদক অভিযোগ করে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আবুবকর কে ব্যাপারটি জানালে তিনি বলেন, ” আমি নিজেই ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখছি এর সঠিক প্রমান পাওয়া গেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
এখন শুধু প্রশ্নই থেকে যায় এই এস আই শফিউলের মত আরো কত শফিউলের দ্বারা অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এই ধরনের ব্যবসা। কখনো কি বন্ধ হবে দেহব্যবসা নামক হেয় নীচ কর্মকান্ড? নাকি এভাবেই চলতে থাকবে? প্রশ্ন রইলো সমাজের মানুষের।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১২:৩২ ৫৩২ বার পঠিত