সোমবার, ৮ জুন ২০১৫

ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১জন

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১জন
সোমবার, ৮ জুন ২০১৫



anantabijoydash2.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসাবে সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকার এক আলোকচিত্রীকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ইদ্রিস আলী (২৪) সবুজ সিলেট পত্রিকার আলোকচিত্রী। সোমবার ভোরের দিকে সিলেট শহরতালীর সাহেব বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির বিশেষ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকি জানান।

অবশ্য পরিবারের দাবি, বাসা থেকে নয়, রোববার রাতে সিলেট শহর থেকে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে তারা বাসায় সিআইডি সদস্যরা তল্লাশিও চালায়।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ঢাকা জোনের পরিদর্শক আরমান আলী সোমবার বিকালে ইদ্রিসকে সিলেটের মহানগর হাকিম আমলি আদালত-২ এ হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে এ আদালতের বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।

ইদ্রিসের স্ত্রী নিপা বেগম বলেন, রোববার অফিসে যাওয়ার পর তার স্বামী আর ফেরেননি। পরে রাত ২টার দিকে সিআইডি পুলিশ বাসায় এসে গ্রেপ্তারের কথা জানায় এবং বাসায় তল্লাশি চালায়।

“তারা বাসায় এসে ইদ্রিসের কম্পিউটারের খোঁজ করে। তা না পেয়ে ইদ্রিসের দুটো শার্ট নিয়ে চলে যায়।”

ইদ্রিসের মোটর সাইকেলটি সিলেট মহানগর পুলিশ কার্যালয়ের পাশে এক জায়গায় পাওয়া যায় বলে তার ছোট ভাই ইয়াহিয়া জানান।

সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, “সন্দেহভাজন হিসাবে ইদ্রিসকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া যাবে আমাদের ধারণা। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।”

গত ১২ মে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মুক্তমনার ব্লগার ও সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্তকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ব্লগে লেখালেখির জন্য অনন্ত ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।

ঘটনার দিনই নিহতের বড়ভাই রত্নেশ্বর দাশ অজ্ঞাতনামা চার জনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

বিমানবন্দর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম প্রথমে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেলেও হত্যাকারীদের কেউ গ্রেপ্তার বা শনাক্ত না হওয়ায় ১৪ দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৬:৪৮   ২৫৭ বার পঠিত