শনিবার, ৬ জুন ২০১৫
এলিয়েন লাইফ সন্ধান
Home Page » এক্সক্লুসিভ » এলিয়েন লাইফ সন্ধানবঙ্গনিউজ ডটকমঃ আগামী এক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের লক্ষণ এবং দুই থেকে তিন দশকের মধ্যে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।এ সপ্তাহের শুরুতে ‘বাসযোগ্য নানা গ্রহ ও ভিনগ্রহের প্রাণের (এলিয়েন লাইফ)সন্ধান’ বিষয়ক এক আলোচনায় আশা প্রকাশ করে নাসা’র প্রধান বিজ্ঞানী এলেন স্তফান বলেন, “আমার মনে হয়, আগামীএক দশকের মধ্যেই আমরা পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের সুষ্পষ্ট লক্ষণ দেখতে পাব এবং আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও পেয়ে পাব।”
“আমরা জানি কোথায় দেখতে হবে। আমরা জানি কিভাবে দেখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এজন্য আমাদের হাতে উপযুক্ত প্রযুক্তিও রয়েছে এবং আমরা তা প্রয়োগের রাস্তাও বের করে ফেলেছি। তাই আমারমনে হয়, নিশ্চিতভাবে আমরা এপথেই আছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু আবিষ্কার বিজ্ঞানী স্তফানের দাবির পক্ষেই কথা বলছে।
যেমন:- বৃহস্পতি গ্রহের দুইটি উপগ্রহ ইউরোপা ও গ্যানিমদে এবং শনির উপগ্রহ এনচেলাদাসের বরফ খোলসের তলদেশে বিপুল পরিমাণ পানির অস্তিত্ব থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
স্তফান আরও বলেন, “অতীতে মঙ্গল গ্রহের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে সাগর ছিল। তাছাড়া, লাল এ গ্রহটির ভূপৃষ্ঠে এখন কালো যে রেখা দেখা যায়, তা খুব সম্ভবত লবণাক্ত পানি প্রবাহের কারণেই হয়েছে।”
তাছাড়া, মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে এরই মধ্যে পৃথিবীর মতো প্রাণের অস্ত্বিত্ব থাকার জন্য প্রয়োজনীয় নানা মৌলিক উপাদানেরও সন্ধান পেয়েছে নাসার কিউরিওসিটি নভোযান।
নাসার উৎক্ষেপণ করা ‘কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ’ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকাশের প্রায় প্রতিটি নক্ষত্রের গ্রহ আছে এবং সেগুলোর অধিকাংশই বাসযোগ্য হতে পারে।
২০২০ সালে নাসা মঙ্গলে তাদের পরবর্তী রোবযান পাঠাবে। ওই যান মঙ্গলের অতীত সময়ের ইঙ্গিত বহন করছে এমন কিছু খুঁজে বের করে সম্ভব হলে তার নমুনা গবেষণার জন্য পৃথিবীতে নিয়ে আসার চেষ্টাকরবে।
এছাড়া, ২০৩০ এর দশকে মঙ্গল গ্রহে নভোচারী পাঠানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছে নাসা। ২০২২ সালের শুরুতে বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৯:২৩ ৩৫৪ বার পঠিত