রবিবার, ২৪ মে ২০১৫
থাইল্যান্ডের পর মালয়েশিয়ায় গণকবরের সন্ধান
Home Page » প্রথমপাতা » থাইল্যান্ডের পর মালয়েশিয়ায় গণকবরের সন্ধানবঙ্গনিউজ ডটকমঃ থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মানবপাচারকারীদের আস্তানায় পাচারের শিকার মানুষের হাড়গোড় পাওয়ার এক মাসের মাথায় মালয়েশিয়ায় আরেকটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে, যেখানে প্রায় ১০০ রোহিঙ্গার লাশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইন জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির পেরলিস প্রদেশের থাইসীমান্ত সংলগ্ন পেদাং বেসারের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ওেই গণকবরের সন্ধান মেলে।
পত্রিকাটি লিখেছে, পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের বেশ কয়েকটি গাড়ি শুক্রবার ওই এলাকায় গেছে। তবে অভিযান শেষ না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি মালয়েশীয় সরকার।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য স্টারকে বলেছেন, যেখানে গণকবর পাওয়া গেছে, সেটি একটি সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার নেই।
“পাহাড়ি ওই এলাকা এখন ঘিরে রাখা হয়েছে”, বলেন তিনি।
মালয়েশিয়া পুলিশের মহা পরিদর্শক খালিদ আবু বকর রোবাবর এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বলেও পত্রিকাটি ইংগিত দিয়েছে।
মালয়েশিয়া সীমান্তের ওই অংশের উল্টো দিকে থাইল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকাও পেদাং বেসার নামে পরিচিত।
জেলাটি যে প্রদেশে, সেই শংখলাতেই গতমাসে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে জেলার মেয়রকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মিয়ানমারে সরকারের নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা গত কয়েক বছর ধরেই সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেশি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ থেকেও কাঠের নৌকা বা মাছ ধরার ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত।
গতমাসের শেষে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর পাওয়ার পর মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড উপকূলে সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাচারকারীদের কয়েকটি নৌকা থেকে তিন হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের মুখে বিপদগ্রস্ত মানুষদের সাগর থেকে উদ্ধার করে সাময়িক আশ্রয় দিতে ও নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
বিভিন্ন স্থান থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকায় করে প্রথমে আনা হয় থাইল্যান্ডে। সেখানে জঙ্গলের মধ্যে পাচারকারীদের বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়। পরে সময় সুযোগ মতো তাদের আবার নৌকায় করে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানো হয়।
অনেক সময় পাচারকারীরা তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং আটকে রেখে মুক্তিপণও আদায় করে।
সম্প্রতি বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, থাই সমাজের ‘প্রায় সবাই’ কোনো না কোনোভাবে মানবপাচারে যুক্ত।
মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি সেখানে পাচারকারীদের কোনো ক্যাম্প না থাকার কথা দাবি করলেও সেখানেও গণকবরের খবর এল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৯:১৪ ৩৭৬ বার পঠিত