মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৩

নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাদক উদ্ধার

Home Page » ফিচার » নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাদক উদ্ধার
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৩



বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (রড-সিমেন্টের দোকান) থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রোববার রাতে ফতুল্লার পাইলট স্কুল সংলগ্ন থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহাম্মেদ লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ওইসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৬৫ বোতল ফেনসিডিল। তবে পুলিশ লিটনকে মামলা থেকে বাঁচাতে রাতেই লিটনের ছোটভাই মাসুমকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। সরকারদলীয়  নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার (উপ-পরিদর্শক) ফজলুল হক তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার পাইলট সংলগ্ন ফরিদ আহাম্মেদ লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৬৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার করা মাদকের মামলায় কেন লিটনকে বাদ দিয়ে তার ছোটভাইকে আসামি করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি লিটনের হলেও মাদকের মালিক লিটনের ছোটভাই মাসুম। তাই মাসুমকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ডিবি পুলিশের একটি টিম মাদকের খোঁজে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরিদ আহাম্মেদ লিটনের বাসভবনে হানা দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় বাসা থেকে কোন মাদক উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয়ভাবে চাউর ছিল ডিবি পুলিশ লিটনের বাসা থেকে মাদক উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দেয় ডিবি পুলিশের এসআই শফিক।
তবে ঘটনার ব্যাপারে জানতে লিটনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৭:১৮   ৫০৯ বার পঠিত