শনিবার, ১৬ মে ২০১৫
ভূকম্পন: মানব সভ্যতার বিদায় ঘণ্টা কি আসন্ন?
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ভূকম্পন: মানব সভ্যতার বিদায় ঘণ্টা কি আসন্ন?বিশেষ প্রতিবেদকঃভূমিকম্পে নেপালের অবস্থা কাহিল।মৃত্যু আতঙ্ক সর্বত্র।নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুই ছুই করছে।আফটার শকের কারণে মানসিকভাবে নেপালিরা ভেঙ্গে পড়েছেন। যেসব ভবন এখনো টিকে আছে সেগুলোতে মানুষ থাকতে চাইছে না। ভবন রেখে অনেক মানুষই এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বিজ্ঞানিদের নানা ভবিষ্যবাণীর কারণে বলাবলি শুরু হয়েছে যে তাহলে কি মানব সভ্যতার বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে? মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের সতর্কবার্তার পর এমন কথাই চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। মার্কিন বিজ্ঞানিরা বলেছেন, খুব শিগগিরই আসছে মহাপ্রলয়। সেই প্রলয়েই ধ্বংস হয়ে যাবে সৃষ্টি। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প-সহ এই কয়েকদিন যা কম্পন আমরা অনুভব করেছি, তার অন্তত ৩২ গুণ শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতেই। অর্থাৎ নেপালের কম্পনের মতো ওই রকম ৩২টি কম্পন মিলিয়ে যতটা শক্তিশালী হয়, সেরকমই ভূমিকম্প হবে শিগগিরই। আফটার শক নিয়ে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সতর্কবার্তা দিয়েছে তাও অনেকাংশে মিলে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়ছে।বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলির একটি মানচিত্র তৈরি করেছে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। বিশেষ করে ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পের তীব্রতায় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতভূমিও। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট বলছে, প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে নেপাল, ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। এছাড়াও মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের হাড়হিম করা তথ্যগুলি হল,নেপালে খুব শিগগিরই ভূমিকম্প হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতেই সতর্ক করেছিল মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। কিন্তু নেপাল সরকার বিষয়টিকে আমল দেয়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেয়নি। রিপোর্ট বলছে, গত ২০৫ বছরের ইতিহাসে কাঠমান্ডুতে এটাই পঞ্চম শক্তিশালী কম্পন। ভারতের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর হর্ষ কে গুপ্তার কথায়, ‘ ২৫ এপ্রিল নেপালের ভূমিকম্প কিছুই নয়। আমরা জানি খুব শিগগিরই এমন কম্পন হতে চলেছে, যার তীব্রতায় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বিশ্বের একটা অংশ।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৮:৩৮ ৩০৯ বার পঠিত