শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
এক লাখ ৯৯৭ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » এক লাখ ৯৯৭ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ব্যয় বরাদ্দে পরিবহন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৯৯৭ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন করেছে সরকার।
এর মধ্যে সরকারি প্রকল্পের জন্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জন্য তিন হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন অর্থবছরের এডিপি অনুমোদিত হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৯৯৭ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এডিপির ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার যোগান সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে হবে। আর ৩৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার যোগান প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় পরিকল্পনা কমিশন থেকে নতুন বছরের জন্য ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এডিপির প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী অতিরিক্ত চার হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাড়ান।
তিনি বলেন, “পদ্মাসেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে তৃতীয়, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়।”
নতুন এডিপিতে ৯৯৮টি সরকারি প্রকল্পের মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৮৫৪টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৩২টি ও জেডিসিএফ অর্থায়িত প্রকল্প ১২টি। আর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ১২৫টি প্রকল্প রয়েছে।
এবারের এডিপিতে বরাদ্দহীন অননুমোদিত ৮৫৭টি প্রকল্প এবং বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে ৩৬৮টি বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত প্রকল্প রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী এডিপিতে ৩২৪টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ২৮১টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৪১টি ও জেডিসিএফ অর্থায়িত প্রকল্প ২টি।
বিগত কয়েক বছরের এবারও নতুন এডিপিতে সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণে (পিপিপি) বাস্তবায়নের জন্য ৪০টি প্রকল্প রাখা হয়েছে।
দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বার বার প্রকল্প সংশোধন করা যাবে না। আমি দেখেছি, কিছু প্রকল্প আছে যেটা ৫ ভাগ কাজ হলে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক সে কাজ শেষ না করে অযথা সময় বৃদ্ধির আবেদন করে।
“এটা করার মূল কারণ প্রকল্প থেকে বাড়তি সুবিধা ভোগ করা। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হয়। সেই সঙ্গে এটা নিশ্চিত করব- একজন প্রকল্প পরিচালককে একের অধিক প্রকল্প দেওয়া হবে না।”
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৫:৩৯ ৩৯২ বার পঠিত