সোমবার, ১১ মে ২০১৫
সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমল
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমলবিশেষপ্রতিনিধিঃসঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় দুই শতাংশ কমিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ কমিয়ে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ করা হয়েছে।রোববার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট অলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদের হার বেশি হওয়ায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছিল। এটা চলতে থাকলে এ খাতে বিনিয়োগ আরো বেড়ে যাবে। সরকারের ভবিষ্যৎ ঋণের বোঝাও বেড়ে যাবে। সে কারণেই আমরা এটাকে কমানোর (রিভিউ) সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে আমরা সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়েছিলাম। সেটা আর রাখা সম্ভব হল না।’
পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সুদ হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ কমিয়ে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন এ সঞ্চয়পত্র কিনলে ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদ দিত সরকার। এ কারণে সঞ্চয়পত্রে মানুষ আগ্রহীও ছিলেন। সমাজের বহু মধ্যবিত্ত পরিবার এবং বিশেষ করে অবসর গ্রহণের পর বহু মানুষ এই সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর নির্ভর করে সংসার চালান।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ ও তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ সুদ দেওয়া হতো। আর তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় ও ব্যাংক মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র। আট মাসে এর নিট বিক্রি দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে বিক্রির শীর্ষে থাকা তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের বিক্রি দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ১ হাজার ৯৭০ কোটি, পোস্ট অফিসের মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ১ হাজার ৪০৪ কোটি এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ২৫৯ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মোট ২৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই সময়ের আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের আসল-সুদ বাবদ ৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। ফলে সঞ্চয়কারীদের নিট বিনিয়োগ অর্থাৎ সরকারের এ খাতে ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০০ শতাংশ বেশি।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ৯ হাজার ৫৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরে। তবে আট মাসেই তার দ্বিগুণেরও বেশি ঋণ নেওয়া হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৪:২৪ ৩৫৪ বার পঠিত