সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৫
সর্বোচ্চ মূল বেতন ৮০হাজার,সর্বনিম্ন ৮২০০ টাকা
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » সর্বোচ্চ মূল বেতন ৮০হাজার,সর্বনিম্ন ৮২০০ টাকাবঙ্গনিউজ ডটকমঃ বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা, পেনশনের হার বাড়ানো এবং কল্যাণ তহবিলের সংস্কার, বাড়ি নির্মাণ ও গাড়ি কেনার জন্য অধিক সুবিধা সৃষ্টি, বেতন কাঠামোর গ্রেড পদ্ধতিতে পরিবর্তন, বিভাজন সৃষ্টিকারী শ্রেণিকরণ পদ্ধতির বিলুপ্তি, ঔপনিবেশিক আমলের ইবি (ইফিসিয়েন্সি বার) তুলে দেওয়া, প্রেষণে নিয়োগ বন্ধ করার মতো সুপারিশ করেছে সরকারের কাছে।ফরাসউদ্দিন বলেন, “সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মেধার প্রধান্য, উপযুক্ত বেতন-ভাতার মাধ্যমে দক্ষতা, সততা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বস্তুনিষ্ঠ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, পদায়ন ও প্রশিক্ষণ এবং মৌলিক চাহিদার বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হলে সরকারি কর্মীবাহিনী বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আরও বৃহত্তর ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে কমিশন মনে করে।”
সর্বশেষ ২০০৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বনিম্ন ৪,১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ‘বেসিক’ ধরে বেতন পাচ্ছেন।
এর সঙ্গে তারা পাচ্ছেন মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা, যা ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে। নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দিন থেকে এই মহার্ঘ্য ভাতা বিলুপ্ত হবে।
নতুন কাঠামো কার্যকর হলে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হবে মাসে ২৫ হাজার টাকা। আগের কাঠামোতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা।
সর্বোচ্চ স্কেলের মূল বেতন ৮০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মূল বেতন ১ লাখ টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের ক্ষেত্রে ৮৮ হাজার টাকা হবে।
সচিবদের অতিরিক্ত দায়িত্বের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত বেতনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী, এই গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন নির্ধারিত, অর্থাৎ প্রতিবছর তাদের বেতন আর বাড়ে না বা ‘ইনক্রিমেন্ট’ যোগ হয় না। তবে তারাও নিয়ম অনুযায়ী বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা পান।
আগের বেতন কাঠামোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ২৪ নভেম্বর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের এই বেতন ও চাকরি কমিশন (অষ্টম কমিশন) গঠন করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ১৩ মাস পর তারা প্রতিবেদন দিলেন।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কাঠামো কার্যকর করতে সরকারের বেতন বাবদ খরচ বাড়বে ৬৩.৭ শতাংশ। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারের কাছে রয়েছে।
কাঠামোর ভিত্তি
ফরাসউদ্দিন জানান, আগের সরকারি বেতন স্কেলগুলো চার বছর মেয়াদের জন্য করা হলেও নতুন এই স্কেল হবে ছয় বছরের জন্য।
বাবা-মাসহ ছয় সদস্যের পরিবার এবং দুই সন্তানের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বাবদ ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এবারের বেতন কমিশন তাদের সুপারিশ করেছে, যেখানে আগের কাঠামোতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ধরা হয়েছিল চারজন।
কমিশন প্রধান বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে পুঞ্জিভূত মূল্যষ্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশ এবং নতুনভাবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছে দুই লাখ মানুষ।
“এসব বিবেচনায় নিয়ে সরকারি বেতন কাঠামোতে গ্রেডের সংখ্যা ২০ থেকে ১৬ তে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিভাজন সৃষ্টিকারি শ্রেণিকরণ রহিত করা হয়েছে, ফলে এখন আর শ্রেণি বিভাগ থাকবে না, গ্রেড ও স্কেল দিয়েই কর্মীর পরিচয় পাওয়া যাবে।”
১৬ গ্রেড
এই কাঠামোতে প্রতিটি গ্রেডের শুরুর বেতন হবে এরকম-
গ্রেড
বর্তমান স্কেলে মূল বেতন প্রস্তাবিত কাঠামোতে মূল বেতন
গ্রেড ১
৪০০০০ ৮০০০০
গ্রেড ২
৩৩৫০০ ৭০০০০
গ্রেড ৩
২৯০০০ ৬০০০০
গ্রেড ৪
২৫৭৫০ ৫২০০০
গ্রেড ৫
২২২৫০ ৪৫০০০
গ্রেড ৬
১৮৫০০ ৩৭০০০
গ্রেড ৭
১৫০০০ ৩২০০০
গ্রেড ৮
১২০০০ ২৫০০০
গ্রেড ৯
১১০০০
গ্রেড ১০
৮০০০ ১৭০০০
গ্রেড ১১
৬৪০০ ১৩০০০
গ্রেড ১২
৫৯০০ ১১৫০০
গ্রেড ১৩
৫৫০০
গ্রেড ১৪
৫২০০ ১০৫০০
গ্রেড ১৫
৪৯০০ ১০০০০
গ্রেড ১৬
৪৭০০ ৯৫০০
গ্রেড ১৭
৪৫০০ ৯০০০
গ্রেড ১৮
৪৪০০
গ্রেড ১৯
৪২৫০ ৮২০০
গ্রেড ২০
৪১০০
এই মূল বেতনের সঙ্গে বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা যোগ করেই মাসিক বেতন হিসাব করা হবে।
কমিশন চেয়ারম্যান জানান, মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বার্ষিক ‘ইনক্রিমেন্ট’ এর সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে ১৫ বছরে বেতন দ্বিগুণ হতে পারে।
অষ্টম ও নবম গ্রেডকে একীভূত করে সিভিল সার্ভিসের শুরুতেই মূল বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “এটা করা হয়েছে যাতে নতুনরা সরকারি চাকরিতে আকৃষ্ট হয়। সর্বোচ্চ বেতন বাড়াতে বলা হয়েছে মূলত মেধা আকর্ষণের জন্য। সার্বিকভাবে বেতন বৃদ্ধি সৎ, দক্ষ ও মেধাবীদের সরকারি চাকরিতে ধরে রাখার একটা প্রয়াস।”
সুপারিশ
আগের বেতন কাঠামোগুলোতে একজন কর্মী নির্দিষ্ট সংখ্যক ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর তার বেতন আর বাড়ত না। একে বলা হতো ইফিসিয়েন্সি বার (ইবি), যা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে ফরাসউদ্দিনের কমিশন।
পাশাপাশি সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের বিলুপ্তি ঘটিয়ে মূলত পদোন্নতির মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে ওঠার সুপারিশ করা হয়েছে।
নতুন কাঠামোতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ধরা হয়েছে ১ : ৯.০৭৬, যা গত কয়েকটি কমিশনও একইভাবে রেখেছে।
ফরাস উদ্দিন বলেন, “কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হলে সরকারের ব্যয় বাড়বে ৬৩.৭০ শতাংশ। রাজস্ব আয়ের ভিত্তিতে খরচ সামান্যই বাড়বে। বাজেট যেহেতু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে তাতে এই ব্যয় হবে মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বাজেটের ১৫ শতাংশের চেয়ে এটা কম।”
ভাতা
কমিশন বলছে, এ সুপারিশ কার্যকর হলে যেহেতু বেতন বাড়বে, সেহেতু নতুন কোনো ভাতা চালু ঠিক হবে না।
পাশাপাশি বিদ্যমান ভাতার জন্য নির্দিষ্ট হার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
যেসব ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে আগের তিন ধরনের মাপকাঠি ভেঙে চারটি স্তর রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকা; চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহর; নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার ও সাভার এলাকা এবং জেলাশহরসহ অন্যান্য স্থানের জন্য আলাদা হারে বাসা ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করেছে কমিশন।
ফরাসউদ্দিন জানান, গ্রাম পুলিশদের বেতনের অর্ধেক বর্তমানে সরকার দেয়। বাকি টাকা ইউনিয়ন পরিষদ অনেক সময় দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে সরকারের সংগৃহীত চাল ‘অতি সুলভ’ মূল্যে গ্রাম পুলিশদের বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
এমপিও
কমিশন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৬ মাস পরে অষ্টম বেতন কাঠামোর সুপারিশ কার্যকরের প্রস্তাব করেছে।
কমিশন মনে করে এতে তাদের বিষয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করার সুযোগ তৈরি হবে।
তাছাড়া এমপিওভুক্ত স্কুলগুলোতে ছাত্র বেতন হিসাবে যে রাজস্ব আদায় হয়, তার একটি অংশ সরকারকে দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করছে কমিশন।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
সরকারি লোকসানি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা বেতন কাঠামো সমর্থন করেনি কমিশন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সরকার পৃথক বেতন কাঠামো করার সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রতি কমিশনের সমর্থন রয়েছে।
প্রেষণ বাতিল
প্রেষণে চাকরি নিরুৎসাহিত করতে প্রেষণ অব্যাহত না রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “ডেপুটেশন তথা প্রেষণের সব রকম ভাতা বাতিল করা যেতে পারে এবং ডেপুটেশন অব্যাহত না রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।”
আবাসন
ফরাসউদ্দিন বলেন, “সরকারি চাকরিতে বাসস্থান একটি বড় সমস্যা। সবারই চাকরির শুরু থেকে চিন্তা থাকে অবসরে মাথা গোঁজার ঠাই নিয়ে। এ বিষয়ে কমিশন বিভিন্ন বিকল্প সুপারিশ করেছে।”
এর মধ্যে একটি সুপারিশ হলো- রিয়েল এস্টেটের মাধ্যমে সরকারের পুরানো বাড়িগুলো ভেঙে অথবা খাস জমি দিয়ে ৬০:৪০ অনুপাত ভিত্তিতে ফ্ল্যাট বানিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মালিকানা দেওয়া।
১০ বা ২০ জন নিয়ে একেকটি গ্রুপ করে ৫ বা ১০ কাঠা জমি এবং ৫০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ গৃহ নির্মান ঋণ দেওয়াও একটি বিকল্প প্রস্তাব রয়েছে।
অথবা জমি কেনার প্রমাণ সাপেক্ষে ৫০ মাসের মূল বেতনের সমান অর্থ ঋণ হিসাবে দিতে পারে সরকার।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “কমিশন মনে করে এ কার্যক্রম হাতে নিলে নির্মাণ খাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হতে পারে।”
গাড়ি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের ঋণের প্রস্তাব রেখেছে কমিশন।
এতে বলা হয়েছে, গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে তৃতীয় গ্রেড ও তার উচ্চ স্তরের কর্মকর্তাদের পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া যেতে পারে।
বিষয়টি সুফল দিলে চতুর্থ গ্রেডের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রথমবারের মত স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা চালুর প্রস্তার করেছে কমিশন।
প্রত্যেক চাকরিজীবীর চিকিৎসার জন্য ৪০০ টাকার প্রিমিয়ামে স্বাস্থ্য বীমা এবং ১০০ টাকা প্রিমিয়ামে জীবন বীমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই বীমার মেয়াদ হবে ৫ বছর। মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, হাসপাতালের খরচসহ সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা বীমা দাবি পরিশোধিত করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কোনো নগদ প্রদানের ব্যবস্থা না রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “এই ব্যবস্থা বীমা খাতেও প্রাণের জোয়ার আনবে বলে মনে করে কমিশন। এছাড়া বীমা খাতের প্রিমিয়ামের উদ্বৃত্ত থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৫০০ শয্যার একটি আধুনিক কার্ডিয়াক হাসপাতাল করা যেতে পারে।”
পেনশন
অষ্টম বেতন কমিশন পেনশনের হার বর্তমানের ৮০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে বলে কমিশন চেয়ারম্যান জানান।
এরশাদ সরকারের আমলে মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ের কথা উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন বলেন, “আপনার হাতেই পেনশনের বিরাট পরিবর্তন ও উন্নতি হয়।”
তবে ২৬ বছর পর ২০১৩ সালের নভেম্বরে আনুতোষিক বাড়িয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়, তা একই রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “ছুটি পাওয়া সাপেক্ষে পেনশনে যাওয়া বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১২ মাসের পরিবর্তে ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন করা যায় কি না- তা বিবেচনা করা যেতে পারে।”
পিআরএল ব্যবস্থা কিছু কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বলে আগের মতো এলপিআর ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ারও সুপারিশ করেছে কমিশন।
যে হারে বেতন বাড়ছে সে হারেই পেনশন বাড়ানো যায় কি না- তা সরকারকে ‘সরাসরি’ বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কল্যাণ তহবিল
কল্যাণ তহবিলের বর্তমান কাঠামোতেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে কমিশন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, “বর্তমান কল্যাণ তহবিলকে পুনর্গঠিত করে বীমা তহবিল, পেনশন তহবিল ও কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা- এই তিন ভাগে ব্যাপকভাবে ক্ষমতায়িত করা উচিৎ বলে কমিশন মনে করে।”
রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে কল্যাণ তহবিলের যে জমি রয়েছে সেখান থেকে ২০ বা ২৫ কাঠা বিক্রি করে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন জোগাড় করে ‘সমৃদ্ধি সোপান’ নামে একটি ব্যাংক স্থাপনেরও প্রস্তাব করেছে কমিশন।
এই ব্যাংক পরিচালিত হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মালিকানায়। প্রতিটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে এতে চার হাজার টাকার শেয়ার থাকবে। এই ব্যাংক একটি উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
“ব্যাংকটিতে নজর দিলে শুরু থেকেই এক অংক (সিঙ্গেল ডিজিট) সুদে সব রকম ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে।”
কমিশন মনে করে, পদ খালি হলে পদোন্নতিতে বিলম্ব এড়ানো উচিত। কেউ যাতে এক পদে সারা জীবন চাকরি করতে বাধ্য না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ‘অর্গানোগ্রাম’ সৃষ্টি করা সমীচীন।
“সরকারি চাকরিতে আকর্ষণ করা না হলে আগামীতে বিশাল ও ক্রমসম্প্রসারণশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক রূপান্তরের জন্য সঠিক সুশাসন, প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ ও বস্তুনিষ্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।”
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০০:০১ ৬০৭ বার পঠিত