বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০১৫
হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করাঃ খালেদা জিয়া
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করাঃ খালেদা জিয়াবঙ্গনিউজ ডটকমঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেছেন, কারওয়ান বাজারে হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করা।
“ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আমাদের পক্ষে যে সাড়া জেগেছে, তা দেখে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে। উন্মাদ হয়ে তারা গতকাল আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার প্রাণনাশের জন্য গুলি চালিয়েছে।”
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে মালিবাগে এক পথসভায় বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আগের দিন নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় কারওয়ান বাজারে হামলা হয় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে। এজন্য বিএনপি আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সংঘাতের জন্য দায়ী করছেন খালেদার নিরাপত্তা রক্ষীদের।
খালেদার নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছেন, হামলার সময় গাড়িতে গুলি ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো ঘটনাকে নাটক বলে উড়িয়ে দেন।
আগের দিনের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোতে চড়েই মঙ্গলবার বিকালে নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে শাহজাহানপুর, মালিবাগ, কাকরাইল, রাজারবাগ এলাকায় মির্জা আব্বাসের মগ প্রতীকে ভোট চান খালেদা। তবে এদিন পুলিশের একটি ভ্যান ছিল বহরের পেছনে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের বসবাসের এলাকায় এদিন খালেদার সঙ্গে বিএনপির কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা ছিল বেশি। তবে ফকিরাপুলে সরকার সমর্থকরা কালো পতাকা দেখায় তাকে, সেখানে পাল্টাপাল্টি ঢিল ছোড়াছুড়িও হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলন শিথিল করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এই নির্বাচনে এসেছে বিএনপি। ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল এবং চট্টগ্রামে এম মনজুর আলমকে মেয়র পদে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে তারা।
টানা চতুর্থ দিন নির্বাচনী প্রচারে নামা খালেদা মালিবাগের পথসভায় বলেন, “এই অবৈধ অত্যাচারী সরকার ভেবেছিল, বিএনপি এই নির্বাচনে আসবে না। একতরফাভাবে তাদের লোকজনকে ক্ষমতায় বসাবে।”
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই শহর এখন নোংরা ও মশার নগরী হয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাটের অবস্থা কেমন আপনারা তা দেখছেন। পানি নেই, গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পয়লা বৈশাখে নারী নিপীড়নের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নারী নির্যাতন এখন প্রতিদিনের ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, মা-বোনেরা যদি এখনও সর্তক না হন, আপনারা কেউ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবেন না।”
দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের সন্ধান না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুম-খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকার আশুলিয়ায় মঙ্গলবারের ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘গুণ্ডারা’ জড়িত বলেও দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বর্তমান সরকারের হাতে গণতন্ত্র ‘বন্দি’ হয়ে আছে মন্তব্য করে তার অবসানে তিন সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
“সিটি নির্বাচনের পর আমরা আস্তে আস্তে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৬:১৪ ৩৬৮ বার পঠিত