সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০১৫

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তিঃ

Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তিঃ
সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০১৫



pid-pm-cabinet-meeting.jpg        বঙ্গনিউজ ডটকমঃ স্থল,নৌ ও রেলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে ব্যবসার সুযোগ রেখে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এর ফলে বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে স্থল, নৌ বা রেলপথ ব্যবহার করে নেপাল বা ভুটানের মতো তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য পরিবহণ করতে পারবে। ভারতও একই সুবিধা পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংশোধিত বাণিজ্য চুক্তি’র এই খসড়া অনুমোদন করা হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের সামনে এই চুক্তি সংশোধনের বিষয়টিকে উল্লেখ করেন ‘বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন’ হিসাবে।

এই সুবিধার জন্য কী পরিমাণ ‘ফি’ দিতে হবে দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে তা ঠিক করবে বলে জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেছে জানিয়ে সচিব বলেন, “বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের স্থল, নৌ ও রেলপথ ব্যবহার করে বাণিজ্য করতে পারে। এ সংশোধনের ফলে দুই দেশ একে অপরের স্থল, নৌ ও রেলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশেও বাণিজ্য করতে পারবে।”

খসড়ায় বিদ্যমান চুক্তির সঙ্গে নতুন দুটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ চুক্তির মেয়াদ ছিল তিন বছর। এখন থেকে তা হবে পাঁচ বছর। কোনো পক্ষের আপত্তি না থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাবায়ণ হয়ে যাবে।

এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন “ব্যবসায়ীরা যখন বিনিয়োগ করেন, তখন চুক্তির মেয়াদ বেশি থাকলে আস্থা তৈরি হয়, তাদের স্বস্তি হয়।”

চুক্তি সংশোধনের প্রয়োজন হলে দুই পক্ষ বসে তা ঠিক করে নিতে পারবে বলেও জানান মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা।

তিনি জানান, ১৯৭২ সালে সালের ২৮ মার্চ দুই দেশের মধ্যে প্রথম এ চুক্তি হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০০৯ সালে নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বর্তমান চুক্তির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গেছে। সংশোধনের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর ধরা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৪:২৮   ৩৪২ বার পঠিত