মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০১৫
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ৩ পুলিশকে মানবাধিকার সংগঠনের লিগ্যাল নোটিশ
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ৩ পুলিশকে মানবাধিকার সংগঠনের লিগ্যাল নোটিশবিশেষ প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর বাউফল থানা হাজতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে পুলিশী নির্যাতনের ঘটনায় একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী সদর সার্কেলের এ এসপি সাহেব আলী পাঠান, বাউফলের ওসি নরেশ চন্দ্র ও কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই আব্দুল হালিমকে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির আগামী ১০ দিনের মধ্যে জনস্বোর্থে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত ২৫ মার্চ ন্যাশনাল ক্রাইম অবজারভেশন এন্ড লিগ্যাল এইড সোসাইটি এই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করলে ৩১ মার্চ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে ডাক যোগে এর অনুলিপে পাওয়া যায়। মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষে এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এডভোকেট রেহেনা চৌধুরী লিগ্যাল নোটিশটি প্রেরন করেন।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিক মিজানের বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা না হওয়া সত্বেও কিভাবে তাহাকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পড়িয়েছেন ? এবং থানার মধ্যে রেখে হাতকড়া পড়িয়ে রোলার দিয়ে পিটিয়ে আমানবিক নির্দয় ভাবে নির্যাতন করতে করতে তাহাকে অচেতন করে ফেলেন ? তাতেও আপনারা ক্ষান্ত হননি, তাহাকে মিথ্যা ষরযন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করেছেন, ঘটনাটি মিমাংসা হওয়া সত্বেও একজন কলম সৈনিককে আপনারা নিজেরা নাটকটি সাজিয়েছেন তাহা কেন ? কোন ক্ষমতা বলে ? শুধুমাত্র আপনারা পুলিশ,সেই কারনে? এবং জনগন ও সাংবাদিক থেকে আপনার আলাদা সেটিই প্রমান করলেন ? আর প্রমান করলেন আপনারা পুলিশ বাংলাদেশের সংবিধান টুকুও মূল্যায়ন করলেন না। তা না হলে অভিযোগটি সত্য না হওয়া সত্বেও তাহার বিরুদ্ধে কোন মামলা না হওয়া সত্বেও আপনাদের ক্ষমতাবলে নিরীহ সাংবাদিককে শুধুমাত্র আপনাদের ব্যক্তিগত ও সন্ত্রাসীদের স্বার্থে ও লোভের বশবর্তী হয়ে এনেহ পৈশাচিক নির্যাতন করে পুরো পরিবারটিকে এবং সাংবাদিক সমাজেকে অসন্মান করেছেন। এবং তাদের মান স¤œান ক্ষুন্ন করা সহ হুমকি প্রদান করে চলছেন,সে কারনে এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার সহ মানবাধিার ক্ষুন্ন করেছেন যাহা আমার প্রতিষ্ঠান সহ দেশের জনগন জানতে চায়। এনেহ সংবাদ জানার পর আমার সংস্থা মানবিক দিক ও মানবাধিকারের কথা বিবেচলা করত ঃ আপনাদেরকে অনুরোধ করেতেছি আপনি কেন রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ন হইলেন? এবং আমাদের দেশের স্বনামধন্য সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব করেছেন।
অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ১০(দশ ) দিনের মধ্যে উপরে বর্নিত বিষয়াদি জনস্বার্থে জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। ব্যার্থতায় মিথ্যা হয়রানী মূলক ও মানবতাবিরোধী ও সংবিধান বিরোধী আটক করার দায়ে আপনাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত সহ প্রচলিত আইনে জনস্বার্থে মোকদ্দমা দায়ের করা হইবে। যাহার দায় দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তাইবে’।
লিগ্যাল নোটিশ টি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সচিব স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়, মহা পুলিশ পরিদর্শক, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, এটর্নী জেরারেল, জেলা ও দায়রা জজ পটুয়াখালী, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, পুলিশ সুপার পটুয়াখালী সহ মোট ৩৯ জনকে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৭ মার্চ সন্ধায় বাউফল থানা পুলিশ দৈনিক প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে আটক করে থানা হাজতে হ্যন্ডক্যাপ পরিয়ে বাউফল থানার ওসি নরেশ চন্দ্র কর্মকার ও কিছু বেপরোয়া পুলিশ সদস্য রাতভর নির্যাতন চালায়। পর দিন মিজানতে পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশেল কাজে বাঁধা দানের অভিযোগে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। মিজান বর্তমানে পটুয়াখালী জেল হাজেতে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৩:০৩ ৫৬২ বার পঠিত