সোমবার, ৩০ মার্চ ২০১৫

মোবাইল গ্রাহকদের ওপর সারচার্জ আরোপে আইন

Home Page » প্রথমপাতা » মোবাইল গ্রাহকদের ওপর সারচার্জ আরোপে আইন
সোমবার, ৩০ মার্চ ২০১৫



3011.jpgবঙ্গনিউজ ডটকম: মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

এজন্য উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি আইন ২০১৫ এর খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের একথা জানান।

মোশাররাফ হোসাইন জানান, এই আইনের ফলে সরকার মোবাইল গ্রাহকদের কাছ থেকে উন্নয়ন সারচার্জ বা লেভি আদায় করতে পারবে।

 

তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে যে বিল নিচ্ছে তার সঙ্গে এই ১ শতাংশ সারচার্জ যোগ হবে।

সরকার মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে এই সারচার্জ আদায় করবে। মোবাইল ফোনে যতো ধরনের সেবা রয়েছে তার সবগুলোর ওপরই এই সারচার্জ প্রযোজ্য হবে।

জাতীয় সংসদে আইন পাস হলে এই সারচার্জ কার্যকর হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

তিনি বলেন, এ আইনের আওতায় মোবাইল অপারেটর কর্তৃক সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।

এর আগে গতবছর বিষয়টি প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় উঠলে মোশাররাফ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এনবিআর হিসাব করে দেখিয়েছে, দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে গড়ে ২০০ টাকা ব্যবহার করেন। এর ১ শতাংশ হিসাবে জনপ্রতি সারচার্জ দাঁড়ায় গড়ে ২ টাকা।

তিনি জানান, মোবাইল ফোনে শতকরা একভাগ সারচার্জ আরোপ করা হবে। এতে বছরে ১৪০ কোটি টাকা আয় হবে। আর এসব ব্যয় করা হবে টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে।

এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১৫ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও তা নীতিগতভাবে অনুমোদন করেনি।

মন্ত্রিপরিষদের এই নিয়মিত সভায় বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে তথ্য বিনিময় চুক্তি পুনঃসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

এই আইনে মূলত বাংলাদেশ ও আরব আরিাতের সঙ্গে নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ফলে দু’দেশের মধ্যে সন্ত্রাস, মানবপাচার, মাদকদ্রব্য বন্ধে এই আইন গুরুত্ব পাবে বলে জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদের এ সভায় বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ‘আসামি বিনিময় চুক্তি’ অনুসমর্থনের প্রস্তাবের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয়।

আসামি বিনিময় আইনে বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক আরব আমিরাতে অন্যায় করলে সে অবশ্যই সেই দেশের আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত হবে। তবে সেখানে কিছুকাল সাজা ভোগের পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনলে সাজার বাকি অংশ এখানে এসেও ভোগ করতে হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি আরব আমিরাতের কোনো নাগরিক এদেশের আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তাদের ক্ষেত্রে একই আইন অনুসরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৭:২৩   ২৩৩ বার পঠিত