রবিবার, ২৯ মার্চ ২০১৫

সিংগার ফু–আল রিআন

Home Page » সাহিত্য » সিংগার ফু–আল রিআন
রবিবার, ২৯ মার্চ ২০১৫



farzul_1338184331_21-13.jpgদূর্ভিক্ষ দানব এসেছে দেশে
এখন কেহ নাই কারো পাশে
চারিদিকে শুধু হাহাকার
যেখানে সেখানে লুন্ঠণ আর মারামারির কারবার।
কারো মাঝে নাই শান্তি সুখ
মানুষ খায় কলিজা, অন্য মানুষের চিড়িয়া বুক
মা তৃষ্ণা মিটায় নবজাতক শিশুর রক্ত দিয়া
বাবা খায় নিজ সন্তানের মাংস টানিয়া ছিড়িয়া
দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
ধর্মের-অধমের্র মানুষকে মারতে পিশে
মানুষের শরীরের রক্ত বিষে ভরা
মুখে নিতেই লাগে তিতা।
ভাই হাসি মুখে জ্বালায় ছোট বোনের চিতা
হিন্দু মুসলিম খিষ্ট্রান বৌদ্ধ আজ
একই কুড়ো ঘড়ে-তবু নাই কোন লাজ
এটাই নাকি এ জামানার নতুন সাজ ?
দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
গোটা দেশ ভরে গেছে গন্ধে-
মরা মানুষের লাশে।
এখন হতে গভীর রাতে
গ্রহ নায়ক উঠে দেয় আলো
দিনের বেলা থাকে অন্ধকার কালো।
গোটা দেশের মানুষ আজ দিশেহারা।
কোন বৃক্ষের তলে নিবে আশ্রয়-জানেনা তারা
সব মানুষের মনে আতঙ্ক ত্রাস
দানব কার গলায় পড়াবে ফাঁস
এই ভয়ে
মসজিদে ছুটে যায় হিন্দু
গলায় পৈতা তবজি বানিয়ে
অনিচ্ছায় কাদে এক বিন্দু
গোটা কয়েক শাওতাল দিশেহারা আজ
পড়বে তারা কোন ধর্মের সাজ।
একাকি আপন পথে চলে
শাওতাল মনে মনে বলে
ভগবানের নাম এতই ডাকি
ভগবান মোদের বিপদের ক্ষণে দেয় কেবলি ফাঁকি
খিষ্ট্রান বৌদ্ধ বলে রে ভাই
কোন ধর্মের বিধি দিবে মোদের ঠাঁই
বাঁচলে এ যাত্রায় আপন প্রাণ
গাইব ততে ফের নিজ ধর্মের গান
দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
মোদের প্রাণে দেবে হানা, কোন সে বেশে
কারো কারো মুখে শুনি
সত্য মিত্যা যে ভাই নাহি জানি
এ কোন নতুন ধারা
কবরে এতদিন ছিল যারা মরা
তারা ফের জিন্দা হয়ে
জিন্দাকে ফের কবরে শুয়িয়ে
রাজক্ত করতে চায় এ দেশে-নব বেশে
ঠাকুর বলে হায় রাম রাম
এ কোন উলঙ্গ ঠাকুর এলো দেশে
বৌদ্ধ কাদে গিয়ে ঐ গির্জায়
বাপ দাদার ঐ পূজা ভুলে
নব জীবনের ছলে
থাকবো মেতে উলঙ্গ ঠাকুরের পূজায়
বৌদ্ধ কাদে গিয়ে ঐ গির্জায়
জ্যান্ত উলঙ্গ পঁচা লাশ
নিজ শরীরের মাংস খায় টানিয়া ছিড়িয়া
অবুঝ শিশু এ দৃশ্য দেখে ভয়ে যায় মরিয়া
হায় এ কি কান্ড ?
সব কিছু হল কেন এমন লন্ড ভন্ড
কারা এ দৈত্য দানব
এরা কেন মানব হয়ে খায় অন্য মানব
যে শিশুরা শিখবে আর্দশ ন্যয়ের বুলি
সমাজ দেখে-তা না শিখে
তুলে নিল অন্যায় বিচারের ঝুলি
এ শিশুরা যে দিন যুবক হবে
পাপ করে বলবে তবে
করেছি মহা নীতির কাজ
মানব হত্যা করেও পাইনি লাজ
সমাজের মানুষগুলো ভয়ে লুকাবে আড়ালে-
দেখলে আমারে আজ
অন্যয় করা এখনতো মহা নীতির কাজ।
দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
কর্ম অকর্ম সব গেল মিশে
অহিতুন্ডিক পালিয়ে থাকে সর্পের ভয়ে দিন দিন
সর্প ধরে বেজী বাজিয়ে সুরের বীন
চোরের আওয়াজ শুনিয়া পালায় পুলিশ
চোর করে কানা কানি ফিঁস ফিঁস
বঊ করে বাজার হাট বাজারে গিয়ে
স্বামী থাকে ঘোমটার আঁড়ালে ঘরের কোনে লুকিয়ে
সমাজের সঙ্গে বদলে গেছে বসন্তে ধারা
এক জাতের বীজে হয় অন্য জাতের চারা
আম গাছে ধরে জাম
জাম গাছে পেপে
মালিক বেটা পাড়তে গেলে ফল
চোর ভাই-মালিককে চোর চোর বলে ধরলো চেপে
মালিক ক্ষমা চেয়ে নত হয়ে যায় সরে
তবু চোর বেটা উঠে ক্ষেপে।

কৃষক কবিতা লিখে হয় কবি
কবি জঙ্গলে গিয়ে আকে লতাপাতার ছবি
বিচারকের আসনে বসেছে সব মূর্খের দল
ফাঁসির আসামি হাসে-খালাস আসামীর চোখে জল

দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
ধর্ম নীতি থাকলোনা কিছু এ দেশে,আর অবশেষে
মানব রুপি কিছু দানব বলে
আমিই দেশের বড় নেতা
খুন ডাকাতি গুম করবই আমি-আমার আছে ক্ষমতা
আমরাই দেশের স্বরাষ্ট্র সন্ত্রাসী
যত সব জ্ঞানী গুণী সত্য ও আদর্শবাদীর দল
পড়াবো তাদের গলায় ফাঁসি
আমরাই দেশের স্বরাষ্ট্র সন্ত্রাসী
দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
কেহ নাই কারো পাশে
ভুতে বলে রাম রাম
রামের সাথে দীর্ঘ কালের প্রেম
ভাই, বেশ্যার মুখে শুনি সতিত্যের গান
বেশ্যা বলে-ধর্মের পর্দার মাঝে আছে সত্য প্রাণ।
মোদের দিয়ে যৌবন জ্বালা মিটায় এ সমাজের কেহ
পেটের জ্বালায় বেশ্যা হয়ে-বিক্রি করেছি দেহ
প্রয়োজন ফুড়ালে বেশ্যা খানকি বলে মোদের করে হেয়

দূর্ভিক্ষ দানব আসলো দেশে
রীতি নীতি সব গেল মিশে
এখন মানুষের মাঝে নাই দয়া মায়া
দেশ জুড়ে নেমেছে পাপের ছায়া
বলে মানুষ বলে
রীতি নীতির সভ্য যুগ এসেছি বহু দূরে ফেলে।
এ যুগে কিসের প্রেম কিসের ভালবাসা
এখন স্বর্ণের চেয়ে দামি কাঁসা।
তবে থাকব কেন পুরানো মায়ের কোলে
যুগ যে এখন গেছে বদলে।
বলে মানুষ বলে
দূর্ভিক্ষ দানব দেশে এসে
মানুষের রক্তে রক্তে গেছে মিশে।
তাই দেশ আজ অশান্তি আগুনে জ্বলছে
এটাই কিয়ামতের লক্ষণ
মূর্খ লোকে করবে দেশ শাষণ।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৩:১০   ১০১৯ বার পঠিত