শনিবার, ২১ মার্চ ২০১৫
সিটি নির্বাচনের আয়োজন ‘তড়িঘড়ি ও তুঘলকি কায়দায়’
Home Page » জাতীয় » সিটি নির্বাচনের আয়োজন ‘তড়িঘড়ি ও তুঘলকি কায়দায়’বঙ্গ নিউজ ডট কমঃতড়িঘড়ি ও তুঘলকি কায়দায়’ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সিটি করপোরেশন নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের আহ্বানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও ভূমিকা নিয়ে অনেকের মনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা রয়েছে। ১ মার্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী জুন/জুলাইয়ের মধ্যে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়। অথচ হঠাৎ করেই ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হলো।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে পেট্রোল বোমা হামলা ও বিচার বহির্ভূতহত্যাসহ নানা ধরণের সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী মামলার কারণে কারারুদ্ধ বা পলাতক রয়েছেন। তাই অনেকেই মনে করে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করলে চলমান অস্থিরতা অনেকটা প্রশমিত হতো। অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করত।কিন্তু কমিশন সেটা না করে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে স্থানীয় সরকারের অনেক ভূমিকা রয়েছে। তাই আশা করবো সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা কারাগারে রয়েছেন তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া এবং যারা পালাতক রয়েছে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থেকে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করবে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সহ-সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, সময়মত নির্বাচন না দেওয়া সরাসরি সংবিধানের লঙ্ঘন। যেমন প্রতি ৫ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনও সংবিধান রক্ষার জন্য করা হয়েছে। ঠিক তেমনি সময়মত স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। তবে দুঃখের বিষয় হল ইতিপূর্বে কোনো সামরিক সরকার বা বেসামরিক সরকার কেউই এই নির্বাচন সময়মত দেয়নি।
তিনি বলেন, দেরিতে হলেও নির্বাচনের আয়োজন হয়েছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন ও প্রাশাসন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করবে।
ঋণখেলাপি বিষয়ক এক প্রশ্নে জবাবে ড.বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোনো প্রার্থী যদি ঋণখেলাপি হয় তবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি নির্বাচনের অযোগ্য।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আশা করি নির্ধারিত সময়ে প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করবেন। যেন ভোটাররা হলফনামা দেখে তাদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থী খুঁজে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজনের চেয়ারম্যান এম হাফিজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৭:৩০ ৩৩০ বার পঠিত