সোমবার, ২ মার্চ ২০১৫
এ বছর এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে কাতার সরকার
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » এ বছর এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে কাতার সরকারবঙ্গ-নিউজ ডটকম, ঢাকা:
চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে আরও এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে কাতার সরকার।
সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সরকারের মানোনীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ।
তিনি আরও বলেন যে, ইতোমধ্যে ৫০ হাজার কর্মীর ভিসা দিয়েছে কাতার সরকার এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে ৫০ হাজার কর্মীর ভিসা দেবে কাতার সরকার।
রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রীর কাতার সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের এ সব কথা বলেন।
উল্লেখ যে, গতমাসে ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী কাতার সফরে যান সেদেশের সরকারের আমন্ত্রণে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘কাতার আমাদের জন্য ‘পপুলার ডেসটিনেশন’। গত বছর অনেক লোক কাতারে গিয়েছে। আগে কাতারে সবচেয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিক দেশ ছিল- নেপাল, ভারত, ফিলিপাইন। কিন্তু আমাদের সফরে শ্রমিক নিয়ে কাতারের বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এখন কাতার শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশকে।’
কাতারের লেবার ও স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতির কথা শুনে কাতার অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা জানিয়েছে- ইতোমধ্যে কাতার বাংলাদেশি ৫০ হাজার কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে। তাদের ভিসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে তাদের অনেক জনশক্তি দরকার। এ উপলক্ষ্যে তারা আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি নিতে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আমরা দুই দেশই জিরো মাইগ্রেশন কস্টের বিষয়ে একমত হয়েছি। এক্ষেত্রে মধ্যসত্বভোগীদের কিভাবে এড়ানো যায় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কর্মীদের ডিমান্ড এবং সিলেকশন- এই দুই জায়গার মাঝখানে কোনো মধ্যসত্বভোগী থাকবে না। এই দুই জায়গায় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে আর মধ্যসত্বভোগীরা সুযোগ পাবে না। আর মাইগ্রেশন কস্টও বাড়বে না।’
তিনি বলেন, এক্ষেত্রেও কাতার সরকার আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আমরা ডাটাবেজের মাধ্যমে কর্মী সিলেকশন করে ডিমান্ড অনুযায়ী পাঠাবো। এতে রিক্রুটিং এজেন্সিও সহযোগিতা করতে পারবে। তারাও কর্মী পাঠাতে পারবে। সেক্ষেত্রে এজেন্টরা কর্মী সিলেকশন করবে আমাদের মাধ্যমে।’
ভিসা ট্রেডিং এর কারণে খরচ বেড়ে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করতেও আমাদের প্রস্তাবে কাতার সরকার রাজি হয়েছে। আমরা বলেছি, কর্মীদের ডিমান্ড আমাদের কাছে আসলে আমরা সরাসরি ডাটাবেজ থেকে কর্মী সিলেকশন করে সাপ্লাই দেবো। কর্মীরা আমাদের রিক্রুটিং এজেন্টদের সঙ্গে যোগযোগ করবে। আর বিমান খরচসহ সব খরচ দেবে নিয়োগ কর্তা কোম্পানী। এভাবে যদি কর্মী যায় তাহলে ভিসা ট্রেডিং হবে না।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই- সরকার আর রিক্রুটিং এজেন্ট কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। আপনারা (টেলিভিশন সাংবাদিক) আমাকে দাওয়াত দিয়ে নেন। আর অনুষ্ঠানে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেন বায়রার লোক। এটা অত্যন্ত অনৈতিক। কারণ বায়রা সরকারের প্রতিপক্ষ হতে পারে না। আপনারা অন্তত একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আনতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘বায়রা বা রিক্রুটিং এজেন্টদের ইনডিভিজুয়াল কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের আলাদা সত্ত্বা নেই। তারা সরকারকে অনুমোদন সাপেক্ষে সহযোগিতা করে মাত্র।বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তাদের কোনো ব্যক্তিগত সত্বা নেই। বেসরকারি খাত হিসেবে তারা সহযোগিতা করে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুন্নাহার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩২:২০ ৩১৯ বার পঠিত