বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫



khalada-ak-1424840785.jpgবিশেষ প্রতিনিধিঃদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার বিশেষ আদালত জজ-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালত বুধবার সকালে এ পরোয়ানা জারি করেন।

এ ছাড়া কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার মামলা দুটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদের অসমাপ্ত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তিনি সাক্ষ্য দিতে সকালেই আদালতে যান।

মামলা দুটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

সময়ের আবেদনে সানাউল্লাহ মিয়া উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজিরা হতে পারেননি। এ ছাড়া বিচারক বদলি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত জজ-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন নামঞ্জুর ও জামিন আবেদন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৫:০২   ৩৭৯ বার পঠিত