মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

গাইবান্ধায় ৮ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » গাইবান্ধায় ৮ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫



gaibanda_hospital.jpgবঙ্গ-নিউজঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন, যিনি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক আশরাফ হোসেন সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পলাশবাড়ীর বুড়িরঘর এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তফা মঞ্জিল (৩২) শিবিরকর্মী ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামে।

র‌্যাব কর্মকর্তা আশরাফ বলেন, “ভোরে র‌্যাবের একটি টহল দল পলাশবাড়ী থেকে গাইবান্ধা ক্যাম্পে ফিরছিল। পথে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা ফাটায় দুর্বৃত্তরা। এসময় র‌্যাব গাড়ি থেকে নামলে তারা গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই যুবক নিহত হয়।”

ঘটনাস্থল থেকে সাতটি পেট্রোল বোমা, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, নিহতের শরীরে একাধিক গুলি লেগেছে। খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি রাজিউর রহমান  বলেন, “নিহত মোস্তফা শিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার তুলশীঘাটে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আট বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাসহ ২৩ জনকে দগ্ধ করার মামলার এক নম্বর আসামি মোস্তফার বিরুদ্ধে সদর থানায় নাশকতার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।”

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তুলশীঘাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ঢাকাগামী নাপু পরিবহনের বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার জন দগ্ধ হয়ে মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরো চার জনের।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লাগাতার অবরোধ ও কয়েক দফার হরতালে রাজধানীসহ দেশব্যাপী নাশকতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে গেছে, যারা প্রায় সবাই পেট্রোল বোমার আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০১:৫১   ৩৫৫ বার পঠিত