বুধবার, ১৫ মে ২০১৩

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর প্রস্তাব: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর প্রস্তাব: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷
বুধবার, ১৫ মে ২০১৩



শুভ/ বঙ্গ-নিউজ ঃ সার্ক দেশগুলির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এক অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ অন্ততপক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই মুদ্রা চালুর প্রস্তাব করেন তিনি৷news_image_2012-11-13_19241.jpgভারত সফরে এসে ভারতীয় শিল্প মহাসঙ্ঘের আয়োজিত ‘ব্যবসা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক উন্নয়নে গতি সঞ্চার’ শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন৷

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এবং এই অঞ্চলের সুসংহত অর্থনৈতিক বিকাশে গতি আনতে এক অভিন্ন মুদ্রা চালু করার সময় এসেছে৷ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ যদি তাতে সম্মত না হয়, তাহলে অন্ততপক্ষে ভারত ও বাংলাদেশ তাদের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তা চালু করতে পারে৷ পণ্য চলাচলে সুষ্ঠু ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশের সোপান৷

রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী মুহিতকে প্রশ্ন করলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, এটা স্বার্থান্বেষী মহলের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়৷

ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা সম্পর্কে মুহিত বলেন, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের পথে ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি কীভাবে দূর করা যায়, সীমান্ত হাট সব জায়গায় বাড়ানো কেন সম্ভব নয়, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে বিশেষ সুবিধা দেয়া, রেল, সড়ক ও জলপথের সুবিধা কীভাবে বাড়ানো যায় ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে৷

তিনি বলেন ভারত-বাংলাদেশ অবাধ বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে৷ যদিও নানা কারণে তার বাস্তবায়নে অসুবিধা থাকায় তার পরিবর্তে ব্যাপক উদারীকরণের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷ তাতেই উভয়দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষিত হবে৷ ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে বাংলাদেশের যে বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে, তা কম করতে ভারত সাফটার অধীনে শুল্কসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে৷

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিমানবন্দর ও পর্যটনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে ভারতীয় বিনিয়োগের সুযোগের কথা বলেন৷ বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে উদার৷ তাই এখন বিদেশি লগ্নিকারীরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেশ করে তাদের অফিস খুলতে পারে এবং বিদেশি কর্মীরা তাদের বেতনের অর্থ আরো বেশি পরিমাণ পাঠাতে পারবে স্বদেশে৷ আগের ৫০ শতাংশের জায়গায় সেটা করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ, বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর৷

সিআইআই-এর বাংলাদেশ কানট্রি কমিটির চেয়ারম্যান শেখর দত্ত মনে করেন, এই অঞ্চলের সার্বিক প্রগতিতে সম্প্রসারিত ব্যবসা ও বিনিয়োগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আছে, বিনিয়োগ-করিডর, সীমান্ত বাণিজ্যের প্রসার, উপ-আঞ্চলিক আর্থিক প্রগতিতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতি ইত্যাদি৷ বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়াতে সিআইআই-এর পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি৷

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সভা এফবিসিসিআই-এর চেয়ারম্যান এএম আহমেদ বলেন, ভারতের বিনিয়োগ রোড-শোতে সিআইআই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই৷

বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন, সাংসদ, আমলা ও মিডিয়া নিয়ে ২৬ জনের এক প্রতিনিধিদল৷

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫০:৫৬   ৪৭৫ বার পঠিত