সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১২
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের কাছে ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা শুল্ককর পাবে ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।।
Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের কাছে ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা শুল্ককর পাবে ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।।শুভ,বঙ্গ-নিউজ ডটকম: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা শুল্ককর পাবে ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বকেয়া পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখনো শুল্ককর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি সারাবছর লোকসানে থাকা বিমান। কাস্টমস হাউজ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে। ঢাকা টাইমস।
জানা গেছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিমান উড়োজাহাজ (বোয়িং-৭৭৭-৩০০ইআর) আমদানি করে। বিল অব এন্ট্রি নং- সি ২৭৯৩৪৫। উড়োজাহাজের আমদানি মূল্য ছিল ১৫ কোটি ৫ লাখ ডলার। টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি। এ উড়োজাহাজ ছাড়ে বিমানের পক্ষ থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এমএ লতিফকে নিযুক্ত করা হয়।
আছাড়া আইন ও বিধি অনুযায়ী এক্ষ্ত্রেে সব ধরনের শুল্ককর থেকে রেহাই পেয়েছে বিমান। কিন্তু এসাইকুডা প্লাস সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রির ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ এজেন্টদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট), আয়কর এবং আমাদানি পণ্য ছাড়ে ডকুমেন্ট ফির ওপর করারোপের বিধান রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রাপ্ত পণ্যের চালান মূল্যের ওপর দশমিক ত্রিশ শতাংশ কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বাবদ ৫১ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ১০ শতাংশ হারে আয়কর ৩৪ কোটি ১৫ হাজার টাকা এবং ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা আদায়যোগ্য। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সিএন্ডএফ এজেন্টের কাছে আলোচ্য অর্থ দাবি করা হলে বিমান এক আবেদনে জানায়, সিএন্ডএফ এজেন্টকে পণ্য ছাড়ের চুক্তি অনুযায়ী কমিশন ১০ হাজার টাকা ধার্য করে এর ওপর র্নিধারিত চার্জ আদায় করতে।
সে অনুযায়ী, কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট এক হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ শতাংশ হারে আয়কর এক হাজার টাকা এবং ৩০ টাকা ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি দিয়ে উড়োজাহাজ ছাড়ের আবেদন জানান। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সর্বমোট শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৩০ টাকা। এ শুল্ককর দিয়ে উড়োজাহাজ খালাস করে বিমান।
আবেদনে আরো বলা হয়, এসাইকুডা প্লাস প্লাস সিস্টেম অনুযায়ী পণ্য ছাড়ের চার্জ বহাল থাকলে সিএন্ডএফ এজেন্টের বদলে বিমান বাংলাদেশ ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। এ অঙ্গীকার করে উড়োজাহাজ খালাস করে বিমান। পরবর্তীতে ঢাকা কাস্টম থেকে জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এনবিআর থেকে ব্যাখ্যা না পাওয়ায় ১৩ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধের জন্য বিমানের বিপরীতে দাবিনামা জারি করে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও বিমান কোন টাকা পরিশোধ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫১:৪০ ৫৯৭ বার পঠিত