সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫

শেখ হাসিনাঃ বিএনপি নেত্রীর মাথা খারাপ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শেখ হাসিনাঃ বিএনপি নেত্রীর মাথা খারাপ
সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫



hasena-picture.jpgবিশেষ প্রতিনিধিঃবিএনপি নেত্রীর মাথা খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীকে স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলার মানুষের জীবন রক্ষার জন্য, তাদের সম্পদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা তাই করব। এতে কেউ বাধা দিতে পারবে না।’
বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাচন করেননি, এটা আপনার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নির্বাচন না করে ভুল আপনি করেছেন। আপনার ভুলের খেসারত কেন জনগণ দেবে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। এখন দেশে আশান্তি সৃষ্টি করছেন। উনি (খালেদা জিয়া) আসলে এখন জঙ্গির নেত্রী হয়ে গেছেন। ওনার অবরোধ কে মানে?’
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি বাংলাদেশকে কী দিয়েছিল? টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করে দেশেকে পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য আর কোনো কাজ করেননি। এর কারণ একটাই, বিএনপি কোনোদিনই এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, এ দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। যে শক্তিকে আমরা যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি তাদের পদলেহন করা, এই হলো বিএনপির চরিত্র।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন এল। বিএনপি নেত্রী গো ধরে বসলেন। নির্বাচনে আসবেন না। কারণটা কী, আর কিছুই না, আপনারা জানেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে পারেনি। তারা ইসির শর্ত পূরণ করেনি। সে কারণে তিনি নির্বাচনে আসেননি। আর বিএনপি নেত্রী জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচনে আসবেন না। আর তিনি জানতেন নির্বাচনে আসলে ভরাডুবি হবে।’

দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ ১২ জানুয়ারি। গত বছরের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করে ১২ জানুয়ারি শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছিলাম। দেশকে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সারা বিশ্বে যে পাঁচটি দেশ অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করেছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমরা ৬ দশমিক ২ ভাগ প্রবৃদ্ধিও অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াদা করেছিলাম পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করব। আল্লার রহমতে সে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছি। অপরদিকে বিএনপি নেত্রী কী করছেন? এবারও ওনার মাথায় ভূত চাপল। ৫ জানুয়ারি থেকে ওনার শুধু আন্দোলন। কিসের আন্দোলন। উনি অবরোধ ডাকেন। কে মানে উনার অবরোধ। জঙ্গিবাদের নেত্রী হয়েছেন কোনো রাজনৈতিক দলের নেত্রী হতে পারেননি। উনি জঙ্গিবাদের নেত্রী, সন্ত্রাসের নেত্রী। উনার ঘর ছেড়ে তিনি গুলশানের কার্যালয়ে বসে আছেন। তাকে কেউ অবরুদ্ধ করেনি। খাবার-দাবার খাচ্ছেন, ভালই আছেন।’

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আয় রোজগার বেড়েছে। আগামীতে দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে। বিদ্যুৎ উদাপাদন ১৩ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। ১ জানুয়ারি বিনা পয়সায় বই দিয়েছি।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন-দিল্লি হয়ে দেশে ফেরেন জাতির পিতা। সেদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত লাখো জনতা হাজির হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব ইজতেমার কারণে সমাবেশ ১০ জানুয়ারির পরিবর্তে দুই দিন পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫২:৩৬   ৪০৬ বার পঠিত