মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩

জামায়াত নেতা ইউসুফের জামিন আবেদন খারিজ

Home Page » জাতীয় » জামায়াত নেতা ইউসুফের জামিন আবেদন খারিজ
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩



2013-05-13-06-21-51-5190867f8f4f6-yusuf.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফের জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধের প্রকৃতি বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের সংশ্লিষ্টতার প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। এসব বিবেচনায় তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করা হলো।
আগামী ১৬ জুন থেকে জামায়াত নেতা ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হবে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইউসুফকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গতকাল এ কে এম ইউসুফের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হূষিকেশ সাহা।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে ‘রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে পরিচিত এ কে এম ইউসুফকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ইউসুফের বিরুদ্ধে আনা ১৫টি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যার অভিযোগ সাতটি। এগুলো হলো একাত্তরের ১৩ মে কচুয়া থানার রণজিতপুর গ্রামে গণহত্যা, ১৯ মে মোরেলগঞ্জ বাজারে গণহত্যা, ২১ মে রামপালের ডাকরা গ্রামে গণহত্যা, ১৪ অক্টোবর রামপালের চুলকাঠি গ্রামে গণহত্যা, ১৫ অক্টোবর কচুয়ার মঘিয়া গ্রামে গণহত্যা, জুলাই ও নভেম্বরে কচুয়ার শাঁখারীকাঠিতে গণহত্যা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য ইউসুফ একাত্তরে মালেক মন্ত্রিসভার রাজস্ব, পূর্ত, বিদ্যুত্ ও সেচমন্ত্রী ছিলেন। ৮ মে তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৬:৪৯   ৪৭১ বার পঠিত