রবিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৫
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
Home Page » প্রথমপাতা » খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশবঙ্গ-নিউজঃবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘিরে পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দুই মাথায় নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে গুলশানের এই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।কার্যালয়ের প্রধান ফটকের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছেন। উপরে ও নিচে বিভিন্ন কক্ষে তার সঙ্গের নেতা-নেত্রী ও অফিস কর্মীরা আছেন।
গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকায় নেতাকর্মীরা এখন ঘুমাচ্ছেন বলে কার্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন।
রোববার সকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের আশপাশে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের একটি দলও কার্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে। কার্যালয় থেকে ১০ গজের মতো দূরে দুদিকে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বড় আকারের দুটো গাড়ি আড়াআড়ি করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
গুলশানের যে সড়কে বিএনপি নেত্রীর কার্যালয় সেই ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মাথায় দুটি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে বেরোতে চাইলে তার পথ আটকায় পুলিশ।
কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ট্রাক আড়াআড়ি করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, যা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সরানো হয়েছে।
রাত পৌনে ১২টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসায় যাবেন বলে ব্যারিকেড সরাতে বললে তা না হওয়ায় কিছুক্ষণ গাড়িতে অপেক্ষা করে ফের কার্যালয়ে যান। এর পর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
খালেদার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, রাশেদা বেগম হীরা, সুলতানা আহমেদ, রেহানা আখতার রানু, সৈয়দা আসিফা পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, টিএস আইয়ুবসহ আরো কয়েকজন নেতা কার্যালয়ের ভেতরে আছেন।
ওই কার্যালয়ে ঘুমানোর বন্দোবস্ত নেই বলে অফিস কর্মীরা জানিয়েছেন। রাতে সেখানে কম্বল, লেপ, তোশক ও খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়
বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে বলে তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন।
রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ম্যাডাম এই অবৈধ সরকারের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। এটা আপনারা দেখেছেন।
“ম্যাডাম ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালন করার জন্য দেশবাসীসহ জোট নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”
গত বছর ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ওই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
ওই দিবসের বছরপূর্তির দিনে দলটি ঢাকায় সমাবেশ করতে চাইলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে ওই দিনকে ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা বলেছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি ইতোমধ্যে হুমকি দিয়েছে, অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করবে তারা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নেতারাও তাদের রাজপথে মোকাবেলার হুমকি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:২২ ৩৫১ বার পঠিত