রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
স্বাধীনতার যুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ : খালেদা জিয়া
Home Page » জাতীয় » স্বাধীনতার যুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ : খালেদা জিয়াবঙ্গনিউজ:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যথাসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধে রূপ দিয়েছিলেন। সেই যুদ্ধে সকলের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের সাফল্যকে দলীয় করণের চেষ্টা শুরু হয়। সেটা কোনো দলীয় অর্জন ছিল না, ছিল জাতীয় অর্জন।
রোববার ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ১০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দলীয়করণ করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান খালেদা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যকে দলীয়করণ করার অপচেষ্টা শুরু হয়। সেই হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকেও বিকৃত করার প্রক্রিয়া চলে। আপনারা (মুক্তিযোদ্ধা) দৃঢ়কণ্ঠে বলবেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো দলের যুদ্ধ ছিল না। এটা ছিল জাতীয় যুদ্ধ। অতীতের মতো এর বিরুদ্ধেও আপনারা রুখে দাঁড়াবেন।
মতাসীনদের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে খালেদা বলেন, একটি বিশেষ দল স্বাধীনতাযুদ্ধের মনগড়া ইতিহাস বলে যাচ্ছে। সেই খণ্ডিত ও বিকৃত ইতিহাসকে শুদ্ধ করে বলতে গেলে কিংবা চ্যালেঞ্জ করলেই তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। তথ্য উপাত্ত দিয়ে কথা বললেই তারা সুষ্ঠু জবাব না দিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি শুরু করে দেয়। এর কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাত।
আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোশাররফ হোসেন, খুরশীদ আলম সেজু মিয়া, জিয়াউল হক বাবু, মতিউর রহমান মনি, মো. শাহজাহান, আবু ইউসুফ হাওলাদার, আব্দুল আজীজ, মো. রমজান আলী, আবুল কালাম ও মো. মোহন মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০০:৫০ ৩৬৬ বার পঠিত