শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

কাদের মোল্লার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান সুরঞ্জিত

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » কাদের মোল্লার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান সুরঞ্জিত
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪



suranjit-sengupta_200514_0005.jpgরাসেদুল হাসান(বঙ্গ-নিউজ)ঃ যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে তার ছেলে হাসান জামিলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “কাদের মোল্লার ছেলের বক্তব্য খুব স্পর্ধার, আপত্তিকর এবং সংবিধান লংঘন এবং আদালত অবমাননা। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমি সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাব।”আগের দিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লার ফাঁসিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করেন তার ছেলে হাসান জামিল।

“আমার বাবা দুনিয়া থেকে বিদায়ের আগে জানতেই পারল না, সংবিধান অনুসারে তার রিভিউ করার অধিকার আছে কি না। যখন আইনের পূর্ণাঙ্গ আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়, তখন সেটা হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছু নয়,” বলেন তিনি।

তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল বলে বৃহস্পতিবারই প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কাদের মোল্লার পোলা আইয়া কয়, সুপ্রিম কোর্ট নাকি তার বাপরে হত্যা করছে। আপনারা কী করতেছেন, এইটা তামশা?

“এইভাবে বিচার হইয়া, এতোদিনে আপিল হইয়া গেল-এখন এই কথা একটা কনটেম্পট।পিটিশন করতে পারেন না? কোর্ট কি তাদের এগুলো সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট শক্তি রাখে না?”

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলা করে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। কামারুজ্জামান নিয়া কত কাণ্ড আপনারা করলেন।

“একজন কয় পাঠায়া দিছি। আরেকজনে কয়, না কিছু না। এরপর দেখা যায়, কাদের মোল্লার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ‘অন্তর্নিহিত ক্ষমতায়’ দিল- যুদ্ধাপরাধ মামলায় রিভিউ করা যাবে। অথচ আমার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস আর আইন মন্ত্রণালয়ের খবরই নাই।

“তারা বলল- রিভিউ করার প্রভিশন নাই। তাইলে অর্ডার কই? কই অর্ডারতো লেখা হয় নাই। এগুলো আরেকটু দেখে শুনে, আরেকটু সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে।”

গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রথম রায়ে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। রায় প্রকাশের পর ১০ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ নিলে কাদের মোল্লার আইনজীবীদের আবেদনে চেম্বার বিচারপতি দণ্ড কার্যকর স্থগিত করে দেন।

কাদের মোল্লাকে বাঁচাতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণের আর্জি জানানো হয়। দ্বিতীয় আবেদনে রায় পুনর্বিবেচনা করে কাদের মোল্লার খালাসের আবেদন করা হয়।

পরে দুই দিন কাদের মোল্লার রিভিউ নিয়ে দুটি আবেদনের শুনানির পর ১২ ডিসেম্বর আদালত তা খারিজ করে দিলে ওই রাতেই ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩২:৪৭   ৩৪৭ বার পঠিত