রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

বৈঠককারীদের আইনের আওতায় আনা উচিত-আলী ইমাম মজুমদার

Home Page » জাতীয় » বৈঠককারীদের আইনের আওতায় আনা উচিত-আলী ইমাম মজুমদার
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪



mn1222248319.jpg
বঙ্গ নিউজ:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠক সম্পূর্ণরূপে ‘অনাকাক্সিক্ষত’ বলে মনে করছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তার মতে, বৈঠকে অংশ নেওয়াদের আইনের আওতায় আনা উচিত। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এ অভিমত দেন সাবেক এই শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বর্তমানে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের কোনো রাজনৈতিক দলের বৈঠকে অথবা তাদের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ বা বৈঠক করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি চাকরির আচরণবিধিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সরকার বৈঠকে উপস্থিত হওয়াদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে সেখানে যদি সাবেক কোনো আমলা বা সরকারি কর্মচারী উপস্থিত থাকেন তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তারা আচরণবিধির মধ্যে পড়েন না। ডাকসাইটে সাবেক এই সচিব আরও বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলই এর ফল ভোগ করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেসামরিক প্রশাসন। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা তাদের দক্ষতা কমিয়ে দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে কম যোগ্য ব্যক্তির পদোন্নতি বাড়ছে। ফলে পুরো জনপ্রশাসনের দক্ষতা কমে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে দলাদলি। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সে চাকরি করতে এসেছে। তাই বলে সে পাশাপাশি রাজনীতি করবে, তা হতে পারে না। আলী ইমাম মজুমদার উল্লেখ করেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন রাজনীতিবিদরা। এক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী-কর্মকর্তারা যাতে নির্দলীয় থাকেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের ওপরই বর্তায়। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বঞ্চনা বা ক্ষোভ থাকলেও তা নিরসনের দায়িত্ব বা ক্ষমতা সবই সরকারের কাছে আছে। নিছক রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করা অনৈতিক ও অনাকাক্সিক্ষত।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৫:২৭   ৩৩৩ বার পঠিত