বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

কিলিং মিশন শেষে শীতলক্ষ্যায় লাশ ডুবানো হয় র‌্যাব সদস্যের জবানবন্দী না.গঞ্জে ৭ খুন,

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » কিলিং মিশন শেষে শীতলক্ষ্যায় লাশ ডুবানো হয় র‌্যাব সদস্যের জবানবন্দী না.গঞ্জে ৭ খুন,
বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪



image_88573_0.jpgবঙ্গ-নিউজ:নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলায় আদালতে আরো একজন র‌্যাব সদস্য ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এতে তিনি সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনার পুরো কিলিং মিশনে যে কতজন র‌্যাব সদস্য জড়িত ছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন। ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব তথ্যই জানান সাবেক র‌্যাব সদস্য নুরুজ্জামান (৩৫)। দুপুর ১টা হতে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকীর আদালতে জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগুরার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত নুরুজ্জামান মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি র‌্যাব-১১ তে সিপাহি পদে কর্মরত থাকার পর সেনাবাহিনী থেকে সম্প্রতি স্বেচ্ছা অবসরে যান। সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করেন। ওই দুটি মামলাতেই পৃথকভাবে জবানবন্দী দেন নুরুজ্জামান।আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, জবানবন্দীতে নিজের দায় স্বীকার করেছে নুরুজ্জামান। তিনি আদালতকে সাত খুনের পুরো ঘটনার সঙ্গে নিজে কখন কিভাবে কাজ করেছে সেটা বর্ণনা করেছেন। সাতজনকে অপহরণের সময়েই ছিলেন নুরুজ্জামান। পরে রাতে সাতজনকে হত্যার পর লাশ ট্রলারে উঠানো ও শরীরে রশি দিয়ে ইট বেঁধে ফেলার কাজে ছিলেন নুরুজ্জামান। লাশ তিন নদীর মোহনাতে নিয়ে ফেলে দেওয়ার সময়েও কাজ করেছেন নুরুজ্জামান।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:৫৯   ৩৯৪ বার পঠিত