বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

গত ছয় বছরে বাংলাদেশের সাফল্য গাথা ও আগামীর সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Home Page » জাতীয় » গত ছয় বছরে বাংলাদেশের সাফল্য গাথা ও আগামীর সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪



mn.jpgবঙ্গ-নিউজঃবুধবার সকালে কুয়ালালামপুরে গ্রান্ড হায়াত হোটেলে মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি বলেন, “আপনাদের সবাইকে আমি বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাই- একবার আসুন এবং সত্যিকারের বাংলাদেশকে দেখুন। ‘বাংলাদেশ’ নামে আগামীর যে সাফল্যগাথা রচিত হচ্ছে, আপনিও তার অংশ হোন।”২০২০ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়া, অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া।

মালয়েশিয়ার শীর্ষ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক দশকে আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ে তুলতে আপনাদের অনেকেরই অবদান রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশও সেই সম্ভাবনা ধারণ করে। সব সীমাবদ্ধতা ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের সুবিধা ও প্রণোদন দিচ্ছে, যা আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে।”

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মালয়েশিয়ায় এটা তার প্রথম সফর।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে মানব সম্পদ রপ্তানি নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যা দেশটির সারাওয়াক প্রদেশে ১২ হাজার বাংলাদেশির কাজের সুযোগ করে দেবে।

বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার মালয়েশিয়া। প্রায় ছয় লাখের মতো বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন।

পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা নিয়েও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী দেশ বাংলাদেশ। তবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে মালয়েশিয়া এগিয়ে আছে অনেক দূর।

বাংলাদেশে প্রতি বছর মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের পণ্য কেনে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যায় সাড়ে ১৩ কোটি ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, বিশেষ করে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটিতে। বিপরীতে আমদানি হয় জ্বালানি ও ভোজ্য তেল। বাংলাদেশে শতাধিক মালয়েশীয় কোম্পানির বিনিয়োগও রয়েছে।

বুধবার পুত্রাজায়াতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পারদানা স্কোয়ারে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সেখানেই চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

সফরে শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা ফিরবেন শেখ হাসিনা।
`

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৭:৫৯   ৩৪৮ বার পঠিত