মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

মন্ত্রিসভায় এনজিও নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অনুমোদন

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মন্ত্রিসভায় এনজিও নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অনুমোদন
মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৪



image_88218_0.jpgতমালঃবঙ্গ-নিউজপ্রতিবেদক :বাংলাদেশে বৈদেশিক অনুদানে পরিচালিত এনজিওদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ তথ্য জানান। এনজিও বিষয়ক বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক অনুদানে পরিচালিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ বিল আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে এনজিওগুলোর নিবন্ধন ও কার্যক্রম পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার বিধান করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশে এনজিও কার্যক্রম বেড়েছে। তারা যাতে আরও কাজ করতে পারে সে জন্য এ আইনটি করা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে নিবন্ধন ছাড়া কোনো এনজিও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এনজিওগুলো প্রকল্পের অনুমোদন ছাড়া তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাদের অনুদানের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিটি এনজিও’র ‘মাদার অ্যাকাউন্ট’ থাকতে হবে। প্রত্যেকটি এনজিও তাদের সব কার্যক্রম সম্পর্কে বাৎসরিক একটি রিপোর্ট দেবে। এই রিপোর্ট এনজিও ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে।এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনের দায়ে নিবন্ধন বাতিল, কার্যক্রম স্থগিতকরণ ও জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
সচিব আরো জানান, এখন থেকে প্রতিটি এনজিওকে ১০ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে। সময় শেষ হলে তারা এটার নবায়ন করতে পারবে। তার জন্য তাদের ছয় মাস আগে দরখাস্ত করতে হবে। কোনো এনজিওতে বিদেশি কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিতে হবে।এনজিওগুলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করতে হলে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। প্রত্যেকটির একটি করে গঠনতন্ত্র থাকতে হবে এবং এ সমস্ত আইন লঙ্ঘন করলে সতর্ক, নিবন্ধন, বাতিল করতে পারবে সংশ্লিষ্টরা।
সচিব আরো জানান, মন্ত্রী পরিষদের আজকের সভায় সংসদে আগামী অধিবেশনে প্রেসিডেন্টর ভাষণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি পরে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। প্রেসিডেন্টের ভাষণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অগ্রগতি, কর্মসংস্থান প্রভৃতি বিষয় স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৮:৫০   ৪২৩ বার পঠিত