বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে ঘোষণা দেওয়া হবে আজ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে ঘোষণা দেওয়া হবে আজ
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৪



image_87494_0.jpgডেস্কঃদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) উদ্যোগকে ‘সময়ভিত্তিক’ ও ‘ফলভিত্তিক’ করার মাধ্যমে সংস্থাকে শক্তিশালী করতে ৩৬ দফা কাঠমাণ্ডু ঘোষণা আসছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে সার্কের নেতাদের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হবে।

সদস্য আট দেশের ঐকমত্য না থাকায় তিন দশকেও খুব বেশি সাফল্য পায়নি সার্ক। এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দীর্ঘ তিন বছর পর। সম্মেলন ও উদ্যোগ বাস্তবায়নকে নিয়মিতকরণের অংশ হিসেবে প্রতি দুই বছরে অন্তত একটি করে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত থাকছে কাঠমাণ্ডু ঘোষণায়। এ ছাড়া ‘শান্তি ও সমৃৃদ্ধির জন্য নিবিড় সংহতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৩৬ দফা কাঠমাণ্ডু ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবাধ বাণিজ্য চালু, সার্ক উন্নয়ন তহবিল, যোগাযোগ, জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, সাগর অর্থনীতি, ২০১৫ সাল-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অভিবাসন, পর্যটন, সন্ত্রাসবাদ, সুশাসন, সার্ক সচিবালয়সহ সার্কের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার মতো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে। পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেছেন, কাঠমাণ্ডু ঘোষণায় বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের অনেক বিষয় স্থান পেয়েছে। এটি এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের বড় অর্জন।
জানা গেছে, কাঠমাণ্ডু ঘোষণায় দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্ক নেতারা নিজেদের সহযোগিতা জোরদারে অঙ্গীকার করবেন। এ লক্ষ্যে তাঁরা সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে- ফলাফলভিত্তিক এমন প্রকল্প, কর্মসূচি ও কার্যক্রম নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কাঠমাণ্ডু ঘোষণার খসড়ায় সার্কের সহযোগিতা আরো জোরদারের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে সই হওয়া চুক্তি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সার্ক সচিবালয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা সার্ককে আরো গতিশীল ও কার্যকর করতে বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থায় অভিন্ন অবস্থান নেওয়া, ফলাফলভিত্তিক নীতি, কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রতি তিন বছর পর পর সার্কের বিভিন্ন কাঠামোর পর্যালোচনার জন্য কাজের অগ্রগতি ও বাধা থাকলে তা মূল্যায়ন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৩:৪২   ৩৭১ বার পঠিত