বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৪
চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন
Home Page » জাতীয় » চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনবঙ্গ-নিউজঃকোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন। গতকাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে সন্ত্রাস দমনে সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেয়া হয়। সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন জোটের শীর্ষ নেতারা। আজ কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দণি এশিয়ার এ শীর্ষ ফোরামের সম্মেলন। এ দিকে ভারত-পাকিস্তান শীতল সম্পর্ক সার্ক সম্মেলনেও প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তান সার্কে চীনের আরো সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রস্তাব জানালেও তা সরাসরি নাকচ করে দেয় ভারত। খবর এপি, এএফপি, রয়টার্স, জিনিউজ, এনডিটিভি ও বাসসের।কাঠমান্ডুর সিটি হলে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় সার্কভুক্ত আটটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের উপস্থিতিতে শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও সার্কের বিদায়ী চেয়ারপারসন আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ১৮তম সার্ক সম্মেলনের চেয়ারপারসন হিসেবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার নাম প্রস্তাব করেন। সবার ভোটে তিনি সম্মলনের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন পর্যন্ত তিনি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন। সার্কের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন হবে পাকিস্তানে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বলেন, জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর একসাথে কাজ করা এখন সময়ের দাবি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্রের অগ্রগতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছেÑ ‘শান্তি ও উন্নয়নে গভীর সংহতি’। সম্মেলনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সাথে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টিশেরিং তোবগায়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মহিন্দ রাজাপাকসে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দণি কোরিয়া, মরিশাস, মিয়ানমার, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৯ জন পর্যবেকও যোগ দিয়েছেন।
সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ সহযোগিতা, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা এবং পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচলবিষয়ক তিনটি চুক্তির কোনোটিই সম্পন্ন না হলেও ভবিষ্যতে নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ছিল শীর্ষ নেতাদের কণ্ঠে।
চিকিৎসা ভিসা সহজ হবে : নরেন্দ্র মোদি
নৈরাশ্যকে আশাবাদে রূপ দিতে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমবারের মতো সার্ক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সদস্য দেশগুলোর জন্য ভারতের ভিসা সহজতর করার ঘোষণা দেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য রোগী ও তার একজন সঙ্গীর জন্য তাৎণিক চিকিৎসা ভিসা ছাড়াও ব্যবসায়ীদের জন্য তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
মোদি তার বক্তব্যে কোনো রাখঢাক ছাড়াই বলেছেন, অত্র অঞ্চলের মানুষের যা প্রত্যাশা ছিল সার্ক আজও তা পূরণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, একযোগে কাজ করা ও একসাথে চলার গুরুত্ব বিশ্বের অন্য কোথাও যতটা না জরুরি, তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি দণি এশিয়ায়।
এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সহযোগিতা এবং রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগসংক্রান্ত তিনটি চুক্তির কোনোটিই স্বারিত না হওয়াকে হতাশাজনক উল্লেখ করে মোদি বলেন, মনে রাখতে হবে সার্ক যেন স্বপ্ন পূরণে বাধাদানকারী সংস্থায় পরিণত না হয়।
৩০ বছরে অর্থনৈতিক েেত্র সার্কভুক্ত আট দেশের সম্পর্ক খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় উল্লেখ করে মোদি বলেন, ২০০৬ সালে মুক্ত বাণিজ্যবিষয়ক একটি প্যাকেজ চালু হওয়ার পরও দণি এশিয়ার এই আট দেশের মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ বাণিজ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের কারণে সার্কের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্র ছোট হোক বা বড়, সবাই একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
মোদি বলেন, দণি এশিয়ায় অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই অন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিণীয় রয়েছে। ভারত এবং নেপাল পারস্পরিক সহযোগিতার নুতন দিগন্ত উন্মোচিত করতে যাচ্ছে।
সঙ্ঘাত বন্ধ করতে হবে : নওয়াজ শরিফ
শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সবার আগে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি দণি এশিয়ার দেশগুলোকে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোকে একপাশে রেখে দারিদ্র্য, রোগ ও নিররতার মতো সার্বজনীন সমস্যা মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর উচিত পরস্পর সঙ্ঘাতে লিপ্ত না হয়ে একযোগে সমস্যা সমাধানে কাজ করা, যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
শরিফ বলেন, পৃথিবীর মোট জনশক্তির চার ভাগের এক ভাগই সার্কভুক্ত আট দেশের বাসিন্দা। অথচ জীবনযাত্রার মানের সূচকে এ অঞ্চলের মানুষের অবস্থান অনেক নিচে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এই অঞ্চলের উন্নতির জন্য সব দেশে বিদ্যুতের অবাধ জোগানের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে নওয়াজ শরিফ বলেন, এই কমন সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার ত্রেকে আরো সুসংহত করতে এবং এ অঞ্চলের মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান তরান্বিত করতে সার্কভুক্ত দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ভিসা প্রদান আরো সহজ করতে হবে।
কানেকটিভিটিকে এগিয়ে নিতে হবে : শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সড়ক, রেল ও আকাশপথে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক সংযোগ গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক মোটরযান পরিবহন চুক্তি ও রেল পরিবহন চুক্তি স্বার দ্রুতগতিতে হলে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। সার্ক নেতাদের কাছে আমার প্রত্যাশা একই মঞ্চে থেকে আঞ্চলিক ‘কানেকটিভিটি’কে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
আঞ্চলিক সংযোগ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃব্যবসায়-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পারস্পারিক সহযোগিতা দরকার। সার্ক অঞ্চলের বাণিজ্য বাড়াতে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে দেবো না : আশরাফ গণি
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি বলেছেন, প্রক্সি যুদ্ধের জন্য তার দেশকে তিনি ব্যবহার করতে দেবেন না। আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে খবর বের হওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দণি এশীয় সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেছেন। এ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন।
এ অঞ্চলে কেউ নাক গলাতে পারবে না : রাজাপাকসে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দণি এশীয় জোট সার্ককে একই সুরে কথা বলার আহ্বান জানান।
সার্কের বয়স তিন দশক হয়ে গেছে উল্লেখ করে রাজাপাকসে বলেন, এখন আর গতানুগতিক পন্থায় এগোলে চলবে না, কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এই সংস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো সার্কভুক্ত দেশের মানুষের মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হলেও দারিদ্র্য বিমোচনের হার ৬ শতাংশেরও নিচে।
মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাইরের কাউকে অত্র অঞ্চলের ব্যাপারে নাক গলাতে দেয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক ফোরামে সার্ককে এককণ্ঠে আওয়াজ দিতে হবে বলেও মত দেন তিনি।
কানেকটিভিটি এখনো বড় ল্য : থাপা
সার্কের মহাসচিব অর্জুন বাহাদুর থাপা বলেছেন, অত্র অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ যোগাযোগ স্থাপন এখনো সার্কের বড় ল্যগুলোর একটি।
এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা এবং পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়নে সার্কভুক্ত দেশকে আরো বেশি যৌথ পদপে নিতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করতে হবে।
২১ শতককে দণি এশিয়ার শতক হিসেবে ধরে নিয়ে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো বেশি কার্যকর পদপে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে : আব্দুল্লাহ
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়েমেন আবদুল বলেছেন, সবার আগে সার্ককে সুনির্দিষ্ট করতে হবে তার অগ্রাধিকারভিত্তিক ল্য কী এবং কোনো পথে তা অর্জন করা যাবে।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ বলেন, এখন মনে রাখতে হবে আমাদের ল্য সামনে, অতীতকে নিয়ে পড়ে থাকলে বা বিবাদে লিপ্ত হলে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, গত ৩০ বছরে আমরা অনেক সভা করেছি, এতে তেমন কিছু অর্জিত না হলেও অত্র অঞ্চলের মানুষের পরস্পরের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস কিছুটা হলেও বেড়েছে, এটাকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখা ঠিক নয়।
তিনি ১২ বছর আগে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত এর আগের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন দেশ যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আবার সবাইকে একটু স্মরণে আনার পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত সব দেশের সরকার প্রধানরাই অতীত ভেদাভেদ এবং ুদ্র স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে শীতলতা
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘ বৈরী সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে সার্ক সম্মেলনেও। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তান বাদে সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর প্রধানদের সাথে আলাদা বৈঠক করছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক না করার কারণ হিসেবে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তান এ সংক্রান্ত কোনো অনুরোধ করেনি।
তবে পাকিস্তানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বাতিল করেছে ভারত। তাই নতুন করে বৈঠক করতে চাইলে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। কেননা ‘বল এখন ভারতের কোর্টে।
এ দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে সার্কে চীন ও কোরিয়ার ভূমিকাকে আরো শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, আগে আমাদের জোটের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে চীন ও কোরিয়া সার্কে রয়েছে পর্যবেক্ষক হিসেবে।
সার্কের শীর্ষ সম্মেলন সর্বশেষ হয়েছিল ২০১১ সালে। মূলত প্রতি বছর এই সম্মেলন আয়োজন করার কথা থাকলেও প্রায়ই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দিন-তারিখ নিয়ে মতোপার্থক্য থাকায় দেরি হয়। এবার তাই তিন বছর পর কাঠমান্ডুতে আয়োজন করা হলো এই সম্মেলনের। ১৯৮৭ সালের নভেম্বর এবং ২০০২ সালের জানুয়ারির পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নেপালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০০৮ সালে নেপাল ধর্মনিরপে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পর এই শীর্ষ সম্মেলন কূটনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সার্ককে ঘিরে নতুন রূপে সেজেছে কাঠমান্ডু। নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নেপালের ঐতিহ্য আর ভাব-সৌন্দর্য। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিñিদ্র নিরাপত্তার জালে ঢেকে ফেলা হয়েছে এই নগরীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৮:৫৭ ৩৯০ বার পঠিত