সোমবার, ১৩ মে ২০১৩
বিশ্বে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হবে
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বিশ্বে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হবেবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) মতে, বিশ্বে অনাহারি মানুষের সংখ্যা ৮৭ কোটি। খাদ্যের দাম বেড়ে গেলে তাদের খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমে যায়। এই অনাহারি মানুষের কিছুটা সুখবর দিয়েছে এফএও এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)।সংস্থা দুটির পূর্বাভাস যদি সত্যি হয়, তাহলে এ বছর বিশ্বে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য ও তেলবীজ উৎপাদিত হবে। এ তথ্যে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে, তা কিছুটা দূর হতে পারে।
ইউএসডিএ গতকাল রোববার ‘বিশ্বের কৃষিপণ্যের সরবরাহ ও চাহিদা মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে (সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে আগস্ট ২০১৪ পর্যন্ত) বিশ্বব্যাপী ৭০ কোটি ১১ লাখ টন গম উৎপাদিত হবে। এটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে চার কোটি ৫৫ লাখ টন বেশি।
অন্যদিকে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী গমের চাহিদাও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তখন মানুষের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হবে ৬৯ কোটি ৪০ লাখ টন গমের। যদিও ২০১১-১২ অর্থবছরে বিশ্বে গমের চাহিদার রেকর্ড হয়েছিল। সে বছর চাহিদা ছিল ৬৯ কোটি ৬০ লাখ টন গমের।
ইউএসডিএ বলেছে, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে পড়া বরফ এবং খরার কারণে শেষ পর্যন্ত দেশটির গম উৎপাদন ৭ শতাংশ কমবে। তার পরও বিশ্বে গমের উৎপাদন বাড়বে। কেননা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্য এশিয়া, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ায় গমের উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে বাড়বে।
এক বছরে ১৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন গমের দাম এখন ৩২৪ ডলার। এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে বিশ্বে ৬৯ কোটি ৫০ লাখ টন গম উৎপাদিত হতে পারে। উৎপাদন ভালো হলে গমের দামও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য এরই মধ্যে গমের দাম পড়তে শুরু করেছে। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে সরবরাহ হবে-এমন গমের দাম প্রতি বুশেলে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ব্লুমবার্গ বলেছে, গত বছর গমের দাম ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছিল।
ইউএসডিএ বলছে, আগামী বছর ৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টন চাল উৎপাদিত হবে। গত অর্থবছরের চেয়ে এটি ৯০ লাখ টন বেশি। এটি হবে চাল উৎপাদনের রেকর্ড। ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে চালের উৎপাদন বাড়বে। শুধু উৎপাদন নয়, আগামী বছর চাল ব্যবহারেও রেকর্ড হবে। চালের ব্যবহার হবে ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টন। গত বছরের চেয়ে এটি ১ শতাংশ বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দিনে চীন চালের বড় আমদানিকারক হয়ে উঠবে। দেশটি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৩০ লাখ টন চাল সংগ্রহ করতে পারে। আর ভারত ৮৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারে। এফএও বলছে, এখন প্রতি টন চালের দাম ৫৮৬ ডলার, যা এক বছর আগের দামের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।
ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছর বিশ্বে তেলবীজের উৎপাদন ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৪৯ কোটি ১৩ লাখ টনে। সয়াবিনের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণেই এটি হবে। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় সয়াবিনের উৎপাদন বাড়বে। অবশ্য চীনে সয়াবিনের উৎপাদন কিছুটা কমে যেতে পারে।
সূত্র: ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩:৪২ ৫১৯ বার পঠিত