মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০১৪
পদ্মা শাসনে চুক্তি সাক্ষর : ব্যয় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » পদ্মা শাসনে চুক্তি সাক্ষর : ব্যয় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকানিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ৪৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে সেতু বিভাগ ও প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এবং সিনো হাইড্রো করপোরেশনের পক্ষে কোম্পানির ডেপুটি চিফ ইকোনোমিক ইঞ্জিনিয়ার ল্যাই লিউশান এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত ১৯ জুন নদীশাসনের জন্য চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন, দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই ও বেলজিয়ামের জানদিনাল কোম্পানি চূড়ান্ত দরপত্র জমা দেয়।
এর মধ্যে সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন। নদী শাসনে সিনো হাইড্রো করপোরেশন প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করেছিল ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে শেষ মুহূর্তে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয় চীনা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সিনো হাইড্রোর চূড়ান্ত প্রস্তাব দাঁড়ায় ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
অপর দুই প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই ও বেলজিয়ামের জানদিনাল প্রস্তাব করে যথাক্রমে ১২ হাজার ১১২ কোটি ও ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা।
অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা কম দর প্রস্তাব করে সিনো হাইড্রো। কারিগরি মূল্যায়নে পৃথক কোনো নম্বর না থাকায় নদীশাসনের কাজটি তাদেরই দেওয়া হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানা যায়, ২০১০ সালের ২৪ জুলাই পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসনে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। চূড়ান্ত মূল্যায়ন শেষে ২০১১ সালের মাঝামাঝি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। সে সময় এ অংশের জন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ৫ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তবে বিশ্বব্যাংকের আপত্তিতে ২০১১ সালের আগস্টে প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
নানা জটিলতায় প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বান করে সেতু বিভাগ। আর গত ১৯ জুন নদীশাসনের চূড়ান্ত আর্থিক প্রস্তাব জমা পড়ে।
এতে সর্বনিম্ন দরপ্রস্তাব করে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত দর হচ্ছে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের হিসেবে নদীশাসনে ব্যয় বাড়ছে ৩ হাজার ৩৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
গত জুনে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণে চায়না মেজর ব্রিজকে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। আর মূল অবকাঠামো ও নদীশাসনের পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পের অপর তিন অংশ জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকা ২-এর নির্মাণকাজ চলছে।
এ তিন অংশের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান এএমএল-এইচসিএম।
ওই অংশ তিনটির পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।এ ছাড়া প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২৮:১৫ ৩৭৩ বার পঠিত