সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০১৪
সাপের ভয়ে স্কুলের পাঠদান বন্ধ!
Home Page » জাতীয় » সাপের ভয়ে স্কুলের পাঠদান বন্ধ!বঙ্গ-নিউজঃ নোয়াখালী: বিষধর সাপের উৎপাতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামের ‘পূর্ব গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’এর প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান বন্ধ রয়েছে। সাপ আতঙ্কের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী লোকজন জানান, গত ২/৩ মাস আগে ইউনিয়নের পূর্ব গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের মধ্যে একটি বিষধর সাপ দেখতে পান বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ধারণ করা হয়েছিল, বিদ্যালয়ের পাশের ঝোপ-জঙ্গল থেকে সাপটি উঠে আসতে পারে।
পরবর্তী সময়ে গত ১০দিন আগ থেকে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষগুলোর নিচের ফ্লোরের পাটাতন দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির একাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা বের হতে থাকলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপগুলো মারতে সক্ষম হলেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
পরে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ১ নভেম্বর থেকে প্রথম শ্রেণী (ক্লাস ওয়ান) থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। তবে পাঠদান বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন ক্লাসের শুরু সময় ওই শ্রেণীগুলোর শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হাজিরা নিয়ে তাদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সামনে জেএসসি পরীক্ষা থাকায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করে নতুন বার্তা ডটকম জানান, গত কয়েক দিনে এ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষগুলো থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৫১টি বিষধর সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। তবে কক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ না হওয়ায় প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু জেএসসি পরীক্ষা থাকায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিদ্যালয় ভবনের ফ্লোরের নিছে বিষধর সাপ ডিম ছেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার ফলে প্রতিদিন একাধিক সাপের বাচ্চা ডিম থেকে ফুটে উপরে উঠে আসছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে এর একটি সঠিক সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন শেখ নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিক সাপুড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সাপুড়েরা বিদ্যালয় ভবনের প্রতিটি কক্ষের ফ্লোর ভেঙে ও তুলে সাপ বের করার জন্য বলছে। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ কাজ করা যাচ্ছে না। তবে আপাতত কক্ষগুলোতে কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩২:২০ ৩৮৬ বার পঠিত