শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ মন্দিরে হামলা, ভাংচুর
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ মন্দিরে হামলা, ভাংচুরবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেইসবুকে নবীকে কটাক্ষের অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় একটি গ্রামের পাঁচটি মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার লালপুর গ্রামের টানপাড়া, দাসপাড়া এবং কান্দাপাড়ার লোকনাথ মন্দির, কালীমন্দির, রামঠাকুরের মন্দির, দয়াময় মন্দির ও অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরে একযোগে এ হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- মো. বাবুল মিয়া (২১), মো. রাসেল মিয়া (২০) ও মো. জুয়েল মিয়া (১৮)। এরা তিনজনই লালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আশুগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর জানান, লালপুর গ্রামের দেবাশীষ দাস সোহেল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মহানবী হযরত মুহম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে বুধবার বিকালে তার বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুর চালায় একদল লোক। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর রাতেই সোহেলের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক আইনে মামলা এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে একদল লোক লাঠিসোটাসহ মিছিল নিয়ে এসে লালপুর গ্রামের পাঁচটি মন্দিরে হামলা চালায়।
হামলায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ দাসগুপ্ত বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় লালপুর গ্রামে লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে একদল লোক। পরে রাতে তারা একযোগে টানপাড়া, দাসপাড়া এবং কান্দাপাড়ার লোকনাথ মন্দির, কালীমন্দির, রামঠাকুরের মন্দির,দয়াময় মন্দির,অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরে হামলা চালায়।
যুদ্ধাপরাধীদের ‘গুরু’ গোলাম আযমের পৈত্রিক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিরগাঁও গ্রামে।একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযম গত ২৩ অক্টোবর মারা গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার মরদেহ নেওয়া ঠেকাতে বিক্ষোভ করেন ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৪:৫২ ৩৬৫ বার পঠিত